তখনও চলছে আগুন আয়ত্তে আনার লড়াই। — নিজস্ব চিত্র।
ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আয়ত্তে এল হাওড়া ময়দান এলাকায় একটি ব্যাগের গুদামের আগুন। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আগুন লাগে ওই গুদামে। ঘটনাস্থলে একে একে পৌঁছয় দমকলের আটটি ইঞ্জিন। বিকেল ৪টে নাগাদ আয়ত্তে আসে আগুন। কিন্তু পুড়ে ছাই হয়ে যায় ওই গুদামটি। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ হাওড়া ময়দান এলাকায় জিটি রোড এবং চিন্তামণি দে রোডের সংযোগস্থলে একটি ব্যাগের গুদামে আগুন লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা ১২টা নাগাদ পাঁচতলা ওই বহুতলের দ্বিতীয় তল থেকে প্রচুর ধোঁয়া বার হতে দেখেন তাঁরা। এলাকাটি ব্যবসাস্থল হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই দমকল এবং হাওড়া থানায় খবর দেন স্থানীয় দোকানদাররা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছয় দমকল এবং পুলিশের গাড়ি। ব্যাগের গুদামে মজুত ছিল চামড়া, রেক্সিন ও ফোমের মতো দাহ্য পদার্থ। তার জেরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এক সময় আগুনের গ্রাসে গোটা গুদামটাই চলে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুনের শিখা বহুতলের বাইরেও বেরিয়ে আসে। সেই সঙ্গে বার হতে থাকে কালো ধোঁয়া। আগুনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশের কয়েকটি গুদামও। আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাওড়া ময়দান চত্বরে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে কেউ যাতে দুর্ঘটনার মুখে না পড়েন, সে জন্য পুলিশ চিন্তামণি দে রোড এবং জি টি রোডের দুপাশে ব্যারিকেড করে দেয়। তার জেরে ওই এলাকায় যানজট দেখা দেয়।
ওই ব্যাগের দোকানের আশপাশে আরও দোকান রয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। আশেপাশের এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরে যান ব্যবসায়ীরাও। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় বেশ কয়েকটি দোকান থেকে মালপত্রও বার করে নেওয়া হয়। এর মধ্যেই এক এক করে দমকলের মোট আটটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। মইয়ের সাহায্যে উপরে উঠে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা।
কী কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে দমকল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত টাকার তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি ওই গুদামের মালিক। ওই গুদামে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শারদোৎসবের মুখে সোমবার এমন অগ্নিকাণ্ডের জেরে হাওড়া ময়দান এলাকায় বেচাকেনা বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়।