Farming

Farming Hub: কর্মতীর্থে কৃষি-হাব হচ্ছে আরামবাগে

প্রস্তাবিত কৃষি-হাবে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, উদ্যানপালন-সহ কৃষি সংক্রান্ত সব ক্ষেত্রের বিজ্ঞানসম্মত নানা উপকরণ থাকবে।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০৬
Share:

কর্মতীর্থ। আরামবাগের ধামসায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

কিছুতেই ব্যবসা জমেনি। উদ্বোধনের পরে চার বছর ধরে কার্যত বন্ধ পড়ে রয়েছে আরামবাগের ধামসার দোতলা কর্মতীর্থ কেন্দ্রটি। তাই এ বার সেখানে কৃষি-হাব গড়তে উদ্যোগী হল প্রশাসন।

Advertisement

আরামবাগের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দোকানঘর নিয়েছেন, অথচ ক্রেতা নেই অভিযোগে সেখানে ব্যবসা শুরু করেননি কেউ। ক্রেতা টানতে স্থানীয় বাজারটিকে সেখানে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। অগত্যা, কর্মতীর্থকে সচল করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে কৃষি হাব গড়ার আয়োজন হচ্ছে।” যাঁরা ঘর নিয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে চাবি ফেরত নেওয়া হবে বলেও জানান বিডিও।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত কৃষি-হাবে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, উদ্যানপালন-সহ কৃষি সংক্রান্ত সব ক্ষেত্রের বিজ্ঞানসম্মত নানা উপকরণ থাকবে। উন্নতমানের বীজ ও সার বিক্রির ব্যবস্থা থাকছে। পরবর্তীতে কৃষি সহায়তা বা পরামর্শ কেন্দ্র গড়ারও ভাবনা রয়েছে। এতে এলাকার মানুষ উৎসাহী। কৃষি-হাবে মাটি পরীক্ষা ব্যবস্থা রাখারও দাবি উঠেছে।

Advertisement

কর্মতীর্থে আগে ঘর নিয়ে ব্যবসা না-চালানো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটির জন্য স্থান নির্বাচন ঠিক হয়নি। তাঁদের মধ্যে হামিরবাটী গ্রামের সেলাইয়ের কাজ করা তিলকা মালিক বলেন, “প্রথম দিকে মাসখানেক সারাদিন বসে থেকেও সারা মাসে ৭০০ টাকা আয় হয়নি। পাকা রাস্তা সংলগ্ন ধামসা বাজার উজিয়ে এখানে কেউ আসতেন না। প্রতিদিন এসে খালি মেশিন ঝাড়পোঁচ করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।” একই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন সেখানে ঘর নেওয়া ঝুটো গয়নার ব্যবসায়ী টোটন হাজরা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী তন্ময় রায় প্রমুখ। সবাই নিজেদের দখলে থাকা ঘরের চাবিও ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।

১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকায় তৈরি ঝকঝকে ওই কেন্দ্রে মোট ৪৮টি দোকানঘর রয়েছে। উদ্বোধন হয়েছিল ২০১৭ সলের ৫ সেপ্টেম্বর। ঠিক হয়েছিল, পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। নামমাত্র ভাড়ায় সেখান থেকে নিজেদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, গ্রামীণ কারিগর এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ এবং ঋণ-সহ কিছু আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সুবিধার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement