ভাঙা রিসেপশনের কাচ। ইনসেটে সুপ্রিয়া ধারা। ছবি: দীপঙ্কর দে।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক যুবতীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চলল চণ্ডীতলার একটি নার্সিংহোমে। বুধবার রাতের ঘটনা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। ভাঙচুরের অভিযোগে মৃতা সুপ্রিয়া ধারার (২৮) ভাই-সহ চার জনকে আটক করা হয়। মৃতার বাড়ি হাওড়ার জগদীশপুরের কামারপাড়ার। গাফিলতির অভিযোগ মানেননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিয়াকে অহল্যাবাই রোডের ধারে চণ্ডীতলা বাস স্ট্যান্ডের পাশে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি মারা যান। ওই খবর চাউর হতেই মৃতার আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরাও নার্সিংহোমের সামনে চলে আসেন। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই ওই যুবতীর এই পরিণতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, উত্তেজিত লোকজন আচমকাই হুড়মুড়িয়ে রিসেপশনে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। জানলার কাচ, দরজা, টিভি-সহ নানা জিনিস ভাঙা হয়। ল্যান্ডফোনের তার কেটে দেওয়া হয়। জিনিসপত্র আছড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির জেরে নার্সিংহোমের কর্মীরা ভয় পেয়ে যান। বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের তরফে চণ্ডীতলা থানায় খবর দেওয়া হয়।
নার্সিংহোমের মালিক লাল্টু ঘোষের দাবি, ‘‘রোগিণীর হিমোগ্লোবিন খুব কম ছিল। এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অনেক আগে সে কথা বলা হলেও বাড়ির লোকেরা রোগীকে নিয়ে যাননি।’’
মৃতার আত্মীয় রাজু চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘কোনও চিকিৎসক না থাকা সত্ত্বেও সুপ্রিয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও চিকিৎসা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ওঁর বিয়ের দিন ছিল।’’ সুপ্রিয়ার দিদি সুপর্ণা শী বলেন, ‘‘উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই বোনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। ওদের গাফিলতিতেই বোন মারা গেল। অবিলম্বে নার্সিংহোম বন্ধ করে দেওয়া হোক। মালিককে গ্রেফতার করা হোক।’’