পরখ: ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে বন্দুক পরীক্ষা করে নিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। শুক্রবার চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ
মোট ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে আজ, শনিবার চন্দননগর পুরসভায় ভোট হচ্ছে ৩২টিতে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুল পাল মারা যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী সেখানে ভোট হচ্ছে না। যথাযথ নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ প্রশাসন শুক্রবার থেকেই তৎপর।
এ দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দননগরের ডিসি বিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, ‘‘প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ প্রহরা থাকছে। পুর নির্বাচনের কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হচ্ছে না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে এবং গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে সিসিক্যামেরার নজরদারি চালানো হবে। কোথাও কোনও ঘটনার খবর পেলেই দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলায় পদস্থ পুলিশকর্তাদের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম হাজির হবে।’’
শহরে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তাগুলিতে শুক্রবার রাত থেকেই ‘নাকা চেকিং’ শুরু হয়ে যায়। গঙ্গাতেও পুলিশের লঞ্চ প্রহরায় ছিল। যাতে উত্তর ২৪ পরগনার দিক থেকে কোনও দুষ্কৃতী চন্দননগরে ঢুকে সমস্যা তৈরি করতে না পারে।
চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন মোট ৯ জন ইনস্পেক্টর, এএসই এবং এসআই মিলিয়ে ১১৪ জন, ৫৪৬ জন (মহিলা ও পুরুষ) কনস্টেবল ও হোমগার্ড। এ ছাড়াও, পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ,, ডিসিপি, এসিপি এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পদস্থ
অফিসাররা থাকছেন।
পুলিশকর্তারা অভয় দিলেও শুক্রবার বিকেলে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার এবং রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ হামলার আশঙ্কা করে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষকে একটি স্মারকলিপি দেন। এ নিয়ে চন্দননগরের তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হবে গত বিধানসভা নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে। তাই ওরা আগাম গান গেয়ে রাখছেন।’’ চন্দননগরে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য হীরালাল সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘চন্দননগরের একটা ঐতিহ্য আছে। তা বজায় রাখতে শাসকদলের সচেতন পদক্ষেপ আমরা আশা করি। তবে শাসকদল তৃণমূল বা বিজেপি বেচাল কিছু করলে আমরা রোখার জন্য তৈরি আছি।’’