ট্রেনের ইঞ্জিনের নীচে আটকে পড়া ট্রলি বার করার চেষ্টা চলছে। নিজস্ব চিত্র।
বড়সড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন কয়েক জন রেলকর্মী। দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ছিটকে গেল লাইনের উপরে থাকা একটি ট্রলি। তবে সতর্ক থাকায় বিপদ এড়াতে পেরেছেন ওই ট্রলির সঙ্গে থাকা কয়েক জন রেলকর্মী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সাঁতরাগাছি কারশেডের কাছে।
রেলকর্মীরা জানান, কারশেড থেকে কিছু মালপত্র ব্যাটারিচালিত ট্রলিতে চাপিয়ে লাইন পার হচ্ছিলেন। কিন্তু আপ লাইনে উঠতেই হঠাৎ বিকল হয়ে যায় ট্রলিটি। সেটি ঠিক করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন কর্মীরা। ট্রলিটিকে লাইনের উপর থেকে সরানোরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সম্ভব হয়নি। রেলকর্মীরা যখন ট্রলিটিকে নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময়েই আপ লাইনে ছুটে আসছিল ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস। বেগতিক দেখে ট্রলি ছেড়ে দিয়েই লাইনের পাশে সরে যান কর্মীরা। ট্রেনটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে ট্রলিতে। সেটাকে সঙ্গে করে এগিয়ে নিয়ে যায়। ট্রলি দু’টুকরো হয়ে যায়। একটি অংশ ছিটকে বাইরে পড়ে। আর কিছু অংশ ইঞ্জিনের নীচে আটকে যায়।
ওই অবস্থাতেই ট্রেনটি বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। চালক ও গার্ড ট্রেন থেকে নেমে দেখেন, ইঞ্জিনের নীচে কিছু আটকে রয়েছে। তত ক্ষণে রেলকর্মীরাও হাজির হন। তার পর গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রলির ভাঙা অংশ ইঞ্জিনের নীচ থেকে কেটে বার করার চেষ্টা করা হয়। প্রায় ৩৫ মিনিট পর নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে ফের যাত্রা শুরু করে ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। ট্রেন চলাচলেও কোনও প্রভাব পড়েনি। এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নীরজ কুমার।