হাওড়া স্টেশনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যরাল সি ভি আনন্দ বোস। —নিজস্ব চিত্র।
শেষ মুহূর্তে যান্ত্রিক ত্রুটি। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে হাওড়া স্টেশন ছাড়ল না হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতেই মালদহ যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। পরে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বাকি যাত্রীদের সঙ্গে সেই যুবা এক্সপ্রেসে চেপে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপালও।
বুধবার মিজ়োরামে সেতু বিপর্যয়ে মালদহের ২৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সেই সব শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই রাজ্যপাল বোস মালদহে যাচ্ছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। চলন্ত ট্রেনে বসেই জনসাধারণের অভিযোগ নিয়ে ফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেন। যাদবপুরের সমস্যা নিয়ে ফোনে তিনি ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। তাঁর আসন্ন বই, ‘বঙ্গপুত্র’-এর জন্যও মালদহ নিয়ে একটি অধ্যায় লেখার কাজও তিনি ট্রেনে বসেই করেছেন বলে সূত্রের খবর।
ট্রেন না ছাড়ার প্রতিবাদে বন্দে ভারতের বেশ কয়েক জন যাত্রী স্টেশন চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বন্দে ভারতে তাঁরা টিকিট কেটেছেন ট্রেনের গতি এবং বাকি সুযোগ-সুবিধার জন্য। কিন্তু বন্দে ভারতের পরিবর্তে বিকল্প যে ট্রেনটির ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার আসন এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা খুব খারাপ। ট্রেনটির গতি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালু না হওয়ায় তাঁরা অসুবিধায় পড়েছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছিল। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে ট্রেনটি ছাড়েনি। তিনি বলেন ‘‘যাত্রীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে আগে। যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনটিকে বন্দে ভারতের গতিতেই চালানো হবে। ওই ট্রেনেও খাবার এবং পানীয় জলের সুব্যবস্থা থাকবে।’’
প্রসঙ্গত, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে হাওড়া স্টেশনে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার পরিবর্তে যে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেটি এক ঘণ্টা দেরিতে অর্থাৎ সাতটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়।