দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের বসিয়ে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পাঠশালা’ চালাচ্ছেন। রাজ্যে ‘খিচুড়ি’ তৈরি হয়েছে। এই ভাষাতেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি-র সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি তথা খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দিলীপের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার তারকেশ্বর মন্দিরে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘সরকারি জায়গাকে ব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে।’’ দিলীপের মতে, ‘‘আধিকারিকদের বসিয়ে রেখে পাঠশালা চালাচ্ছেন আর প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি দিচ্ছেন। এটা কী ধরনের সৌজন্য? রাজনীতি করার জায়গা আছে। এখানে রাজনীতি, দল, সংগঠন, প্রশাসন বলে আলাদা কিছু নেই। উনিই সব। রাজনীতির জায়গায়, সরকারি কাজ। আর সরকারি জায়গায় রাজনীতির কাজ। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে খিচুড়ি তৈরি হয়েছে। তাই রাজ্যে হাহাকার চলছে।’’ দিলীপের আরও অভিযোগ, ‘‘সারা দুনিয়াতে আবহাওয়া জলবায়ু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ এখানে আদালত রোজ থাপ্পড় মারছে। জরিমানা করছে। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ছেলেমেয়েদের কাজকর্ম নিয়ে চিন্তা নেই। এখানে খালি রাজনীতি আর রাজনীতি আর রাজনীতি।’’
দিলীপের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী পাল্টা তোপ দেগেছেন। তাঁর মতে, ‘‘দিলীপ ঘোষের দল বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পুরো প্রশাসন নিয়ে গ্রামে গিয়ে সরকার বসাচ্ছেন— এমন একটা উদাহরণ দেখান? কিন্তু এখানে সরকার শুধু মাত্র নবান্নে বসে কাজ করছে না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দলের কথা বলেন না। তিনি প্রশাসন এবং জন প্রতিনিধিদের সচেতন করেন। কারণ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’