প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য পর্যাপ্ত লার্ভিসাইড তেলের অভাব নেই ভাঁড়ারে। কিন্তু সেই তেল ছড়ানোর মতো প্রশিক্ষিত স্প্রে-ম্যান নেই হাওড়া পুরসভার হাতে। তাই পুর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
উত্তর হাওড়ার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সম্প্রতি ডেঙ্গি ছড়ানোয় বাড়ছে উদ্বেগ। তাই ডেঙ্গি মশার লার্ভা নিধনে লার্ভিসাইড তেল স্প্রে করতে তিন মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক ২৫০ জন স্প্রে-ম্যান নিযুক্ত করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার হাওড়া শরৎ সদনে রাজ্য পুর দফতরের পদস্থ কর্তাদের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।
পুরসভার বক্তব্য, ডেঙ্গির প্রকোপ রোধ করতে পারে একমাত্র লার্ভা নিধনকারী লার্ভিসাইড অয়েল এবং জনসচেনতা। কিন্তু সমস্যা হল, এই বিশেষ তেল স্প্রে করার জন্য প্রশিক্ষিত স্প্রে-ম্যানের অভাব রয়েছে পুরসভায়। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর এলাকার জন্য যেখানে অন্তত ৩৩০ জন স্প্রে-ম্যানের প্রয়োজন, সেখানে রয়েছেন মাত্র ১২৫ জন। বিষয়টি রাজ্য পুর দফতরে জানানোর পরে সেখান থেকে অবিলম্বে তিন মাসের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইড তেল স্প্রে করায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আরও স্প্রে-ম্যান চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। সেই সঙ্গে যে সব ওয়ার্ডে ডেঙ্গি বাড়ছে যেমন ১১, ১৫, ১৬ ওয়ার্ডে জনসচেনতা বাড়াতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসভা করা হবে।’’
এ দিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে যে সব ওয়ার্ডে, সেখানে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে এ দিন রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক-সহ পুরসভার কর্তা ও পুর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি, এলাকায় নিয়মিত লার্ভিসাইড অয়েল ছড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ওয়ার্ডে এখনও ডেঙ্গির প্রকোপ সে ভাবে দেখা যায়নি, সেখানে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, উত্তর হাওড়া ছাড়া বাকি এলাকায় ডেঙ্গি রুখতে প্রতিটি ওয়ার্ডে লিফলেট বিলির কথা ভাবা হয়েছে। চলবে ভ্যানে মাইক লাগিয়ে প্রচার। বৃষ্টির জল যাতে বাড়ির ছাদে বা পরিত্যক্ত পাত্রে না জমে, সে দিকেনজর রাখার জন্য বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হবে।