Farmers

হিমঘরে ‘বাড়তি’ খরচ, অবরোধ কাবলেতে

পুলিশের তৎপরতায় অবশ্য আধ ঘণ্টার মধ্যে অবরোধ ওঠে। পুলিশ মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে বলে জানান আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা বিনয় পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০৫
Share:

পথে নেমে প্রতিবাদ। আরামবাগের কাবলে এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

তাঁদের ঘাড়ে অন্যায় ভাবে অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপাচ্ছেন কয়েকটি হিমঘর কর্তৃপক্ষ, এই অভিযোগ তুলে শনিবার বিকেলে আরামবাগের হরিণখোলা-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকার আলু ব্যবসায়ী এবং চাষিরা কাবলে মোড় অবরোধ করলেন।

Advertisement

বিকেল ৫টা থেকে আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডে এই অবরোধের জেরে দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলার সঙ্গে তারকেশ্বর এবং কলকাতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পুলিশের তৎপরতায় অবশ্য আধ ঘণ্টার মধ্যে অবরোধ ওঠে। পুলিশ মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে বলে জানান আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা বিনয় পাল।

কাবলে বিভাগের ‘প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি’র অভিযোগ, গত বছর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা, বের করা, হিমঘরের ছাউনিতে শুকোনো এবং লরিতে তোলা পর্যন্ত বস্তাপিছু (৫০ কেজি) ভাড়া ছিল ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু এ বার দুই অঞ্চলের ৫টি হিমঘর কর্তৃপক্ষ আরও প্রায় পাঁচ টাকা বেশি দাবি করে নোটিস টাঙিয়েছেন। এরই প্রতিবাদ হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে চাষিরা কেন শামিল?

হরাদিত্য গ্রামে নিমাই মালিক বলেন, “ব্যবসসায়ীরা ওই বাড়তি টাকা আমাদের থেকেই নেবেন বলছেন। আলু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে তাঁদের উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় সার-বীজের টাকাও নিতে হয়।”

অতিরিক্ত খরচ ধরার অভিযোগ নিয়ে ওই সব হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি ভাড়া মোতাবেকই ওই টাকা চাওয়া হয়েছে। হিমঘরে চাষিরা আলু ঢোকানোর মুখে অন্যায় ভাবে তাঁদের বিভ্রান্ত করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টা নিয়ে তাঁরাও ফয়সালা চান বলে জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement