তপন মাহাতোর সঙ্গে গৌতম রায়। নিজস্ব চিত্র।
রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যর সাহায্যে গন্তব্যে পৌঁছলেন এক মূক-বধির যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাঁকুড়ার পুঞ্চার রাধানগর গ্ৰামের মূক ও বধির বছর বাইশের তপন মাহাতোকে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে আদ্রা-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জারে তুলে দিয়েছিলেন পরিজনরা। তাঁর আসার কথা ছিল উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলে। নামার কথা ছিল ফুলেশ্বর স্টেশনে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন সব স্টেশনে না দাঁড়িয়ে একেবারে চলে যায় হাওড়া স্টেশনে।
সোমবার ভোরে হাওড়ায় নেমে বিপত্তিতে পড়েন তপন। তারপর রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই যুবক। রেল পুলিশ ফোন করে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় দাসকে। কিন্তু হাওড়া থেকে কী ভাবে স্কুলে পৌঁছবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তপন।
সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন অজয়বাবুর পরিচিত উত্তর হাওড়ার রেড ভলান্টিয়ার কর্মী গৌতম রায়। তিনি স্কুটারে ওই যুবককে পৌঁছে দেন স্কুলে। অজয়বাবু বলেন, ‘‘প্রতিবন্ধী ওই যুবক অপরিচিত পরিবেশে গিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফের গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য রেল পুলিশ ও গৌতমবাবুকে ধন্যবাদ।’’