Death

বোমার আঘাতে ভাই নিহত, দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর পানিহাটির ঘাটে মিলল হুগলির বৃদ্ধের দেহ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রণব। তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয় উত্তরপাড়া থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৭
Share:

— নিজস্ব চিত্র।

তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি থেকে মিলল হুগলির বৃদ্ধের দেহ। কোন্নগরের দেবপাড়ার বাসিন্দা প্রণব রায়চৌধুরী (৮৬) নিখোঁজ ছিলেন গত ১৯ নভেম্বর থেকে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর দেহ শনাক্ত করেছে প্রণবের পরিবার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন প্রণব। তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর। ওই দিনই নিখোঁজ ডাইরি দায়ের করা হয় উত্তরপাড়া থানায়। এর পাশাপাশি, ওই দিন থেকেই সমাজামাধ্যমে তাঁকে খুঁজে দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পানিহাটি পুলিশের তরফে রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা খবর পান গঙ্গায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ শনাক্তকরণের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠায় পুলিশ। রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রণবের দেহ শনাক্ত করেন।

বৃদ্ধ তাঁর মেয়ে এবং নাতনির সঙ্গে থাকতেন। প্রণবের মেয়ে স্মৃতি ঘোষ বলেন, ‘‘বাবা সুস্থই ছিলেন। কোও অবসাদ ছিল না। তবে ভোরবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে উনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।’’ প্রণবের নাতনি ঈশা ঘোষ বলেন, ‘‘দাদু কোন্নগরের বারোমন্দির ঘাটের সামনে বসে থাকতেন। নিখোঁজ হওয়ার পর আমি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। তারকেশ্বর, বেলুড়,কাটোয়া পর্যন্ত গিয়েছি। তবে কোথাও তাঁর সন্ধান পাইনি। গতকাল সকালেও দক্ষিণেশ্বর গিয়ে খুঁজে এসেছি। বার্ধক্যজনিত কারণে দাদুর স্মৃতিশক্তি কিছুটা দুর্বল হয়েছিল। পরে জানতে পারি, পানিহাটি ঘাটে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে উনি জলে পড়ে গিয়েছিলেন না কি আত্মহত্যা করেছেন তা বলতে পারব না।’’ ঘটনাচক্রে প্রণবের ভাই মানস রায়চৌধুরী কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁকে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে খুন করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement