বাগনানের মুম্বই রোডে যানজট। বৃহস্পতিবার।
বীরভূম থেকে বধর্মানে গিয়ে সভা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁর হেলিকপ্টার নামে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। সেই কারণে এ দিন সকাল থেকে হাওড়ার মুম্বই রোডের বিভিন্ন জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। তার জেরে দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টা যানজটে নাকাল হলেন যাত্রীরা। বহু পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ি আটকে পড়ে। ভোগান্তি বেশি হয় কলকাতামুখী গাড়ির যাত্রীদের। দুপুরের পর যানজট কিছুটা কাটে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতোই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’ আর এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাতে আটকে না যায় বা কনভয়ে অন্য কোনও গাড়ি ঢুকে না পড়ে, সে কথা ভেবে সকাল থেকে মুম্বই রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
মুম্বই রোডের বাগনান, উলুবেড়িয়া ও ধূলাগড়ির বিভিন্ন ‘পয়েন্টে’ পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে কলকাতামুখী লেনে এগোতে নিষেধ করে। কোনও কোনও গাড়ি আবার ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রাকের লম্বা লাইনের পিছনে পড়ে যায় বহু বাস ও ছোট গাড়ি।
সকালে বাগনানে আটকে পড়া রামচন্দ্র সিংহ নামে এক ট্রাকচালক বলেন, ‘‘দু’দিন গাড়ি চালিয়ে আসছি। আর ২০ কিলোমিটার গেলেই গন্তব্যস্থল পাঁচলায় পৌঁছে যেতাম। হঠাৎ শুনি, ‘নো এন্ট্রি’। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে গাড়ি আটকে লাভ কী হচ্ছে পুলিশের?’’
যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বহু ট্রাককে মুম্বই রোডের সার্ভিস রোডে ঢোকানো হয়েছিল। এর ফলে সমস্যায় পড়েন ওই সড়কের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। বীরশিবপুরের কলকাতামুখী সার্ভিস রোডে সকাল থেকেই ট্রাকের লাইন চোখে পড়ে। ফলে, গ্রামবাসীরা টোটো বা অটোয় বেরোতে পারেননি।
বীরশিবপুরের কাছে মালঞ্চবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মদন জানার ক্ষোভ, ‘‘সার্ভিস রোড দিয়েই যাতায়াত করতে হয় আমাদের। কিন্তু সার্ভিস রোডে ওঠাই যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যেই ভিআইপিদের জন্য মুম্বই রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তখন সার্ভিস রোড ভরে যায় গাড়িতে।’’