COVID-19

কোভিড-শ্মশান আছে, এ বার স্বস্তি প্রশাসনের

গত বছর করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা নিয়ে প্রচুর অশান্তি ছিল আরামবাগ মহকুমা জুড়ে। গ্রামের শ্মশানে দাহকাজে আপত্তি উঠেছিল নানা জায়গা থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৭:৪৫
Share:

n কোভিডের জন্য অস্থায়ী শ্মশান। আরামবাগের পল্লিশ্রীতে। —নিজস্ব চিত্র

গত বছর আরামবাগের পল্লিশ্রীতে দ্বারকেশ্বর নদের ধারে কোভিড-শ্মশান নির্মাণ করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এ বার প্রশাসনের কর্তারা নিশ্চিন্ত। কোথাও কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই। দাহকাজ নির্বিঘ্নে চলছে। বৃহস্পতিবার ওই শ্মশানে দুই সংক্রমিতের দেহ দাহ হয়েছে। সব মিলিয়ে এ দফায় এখনও পর্যন্ত মোট চার জন সংক্রমিতের দেহ দাহ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত বছর করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করা নিয়ে প্রচুর অশান্তি ছিল আরামবাগ মহকুমা জুড়ে। গ্রামের শ্মশানে দাহকাজে আপত্তি উঠেছিল নানা জায়গা থেকে। ফলে, অনেক মৃতের পরিবার মহকুমা কোভিড হাসপাতাল থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করতেন। সেইসব মৃতদেহ রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন নদীর চরে পোড়াতে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভা বা প্রশাসনের কর্মীদের। রাস্তা অবরোধও হয়েছে বহুবার। এই পরিস্থিতি এড়াতে গত বছর ১০ অগস্ট মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহ তাঁর দফতরে পুরসভা, পুলিশ এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে পল্লিশ্রীতে দ্বারকেশ্বর নদের ধারে সেচ দফতরের পরিত্যক্ত জায়গায় অস্থায়ী কোভিড শ্মশান করার সিদ্ধান্ত নেন।

গত বছর ১১ অগস্ট থেকে শ্মশান নির্মাণের কাজ শুরু হলেও গোলমাল এড়ানো যায়নি। এলাকাবাসী আপত্তি তুলে অবরোধ করেন। বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যেই অবশ্য জায়গাটি টিন দিয়ে ঘিরে, উপরে ছাউনি দিয়ে শ্মশান চালু করে দেওয়া হয়। এখানে প্রায় ৯০০ বর্গফুট চালাতেল পাশাপাশি দু’টি মৃতদেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা আছে। বিদ্যুৎ এবং জলের পাইপ লাইনের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement