প্রতীকী ছবি।
অবিলম্বে প্রয়োজন ছিল এক লক্ষ প্রতিষেধকের। কিন্তু এসেছে মাত্র ১০ হাজার। আর তাই, সোমবারও হাওড়ার অধিকাংশ কেন্দ্রে দেওয়া গেল না করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ়। পুরোপুরি বন্ধ থাকল পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষেধক না থাকায় গোলমালের আশঙ্কায় পুরসভা এত কম ডোজ় নিতে চায়নি।
গত শুক্রবারই হাওড়ার অধিকাংশ কেন্দ্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া বন্ধ থাকবে। তা সত্ত্বেও এ দিনও বহু মানুষ প্রতিষেধক নিতে লাইন দিয়েছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। লাইন পড়ে হাওড়া জেলা হাসপাতাল-সহ অন্যান্য হাসপাতালেও। কিন্তু সব জায়গাতেই প্রতিষেধক কম থাকায় অধিকাংশ মানুষকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের প্রয়োজন ছিল এক লক্ষ প্রতিষেধকের। কিন্তু পেয়েছি মাত্র ১০ হাজার। তাই জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে কিছু সংখ্যক প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক না আসায় সব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব হয়নি।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আপাতত যত প্রতিষেধক আছে, সেগুলি জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে বণ্টন করে কাল, বুধবার পর্যন্ত চলতে পারে। তার পরে ফের প্রতিষেধক এলে দেওয়া হবে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু মানুষ প্রতিষেধক নিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আসছেন। প্রতিষেধক নেই, নোটিস দিয়ে জানানো সত্ত্বেও ভিড় করছেন। অল্প কিছু মানুষকে তা দেওয়ার পরে বাকিদের না দিতে পারলে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। তাই জেলা স্বাস্থ্য দফতর যে সামান্য সংখ্যক প্রতিষেধক দিতে চাইছিল, তা নেওয়া হয়নি। আজ মঙ্গলবার প্রতিষেধক এলে তা ফের বুধবার থেকে দেওয়া হবে।