মাস্ক থাকলেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দুরত্ব বিধি। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার আবহে সরকারি-বেসরকারি বাস স্যানিটাইজ না হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত চালক, কন্ডাক্টর থেকে শুরু করে হাওড়ার অগণিত যাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিদিন হু হু করে সংক্রমণ বাড়লেও পরিবহণ দফতর থেকে সরকারি বাসের চালক বা কন্ডাক্টরদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি, বেসরকারি বাসেও কোন স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না।
শুক্রবার হাওড়া বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সভাপতি নিখিলেশ মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেন যে বাস থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তিনি জানান, গত বছর হাওড়া পুরসভা থেকে তাঁদের বাসগুলিকে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে পরিবহণ দফতর অথবা পুরসভা থেকে এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ায় নিজেদের খরচে বাস স্যানিটাইজ করা সম্ভব হচ্ছে না বাস মালিকদের।
শুক্রবার প্রবীর গুছাইত নামে এক বাসচালক বলেন, “মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার না থাকায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে।” শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী মনে করেন, হাওড়ার সমস্ত সরকারি-বেসরকারি বাস স্যানিটাইজ করা উচিত। তিনি বলেন, “জীবানুনাশক ব্যবহার না করায় বাস থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে।”
বাস ছাড়াও অটো বা ট্যাক্সিতে সাবধানতা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। গত বছর করোনার মোকাবিলায় অটো বা ট্যাক্সিতে চালক ও যাত্রীদের জায়গা প্লাস্টিক দিয়ে আলাদা করে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তবে সেটাও এখন চোখে পড়ছে না। সব মিলিয়ে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের দাবি করছেন বহু যাত্রী।
সরকারি-বেসরকারি বাস প্রতিদিন স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক করতে শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া, গণপরিবহণ থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সে বিষয়ে নজরদারিও চালানো হবে।