মাস্ক ও দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না-করে ভক্তের ভিড়। রবিবার চুঁচুড়ার জেলেপাড়ায় বাসন্তীপুজো মণ্ডপে। ছবি: তাপস ঘোষ।
স্থানীয়দের বাধায় হুগলি জেলায় করোনায় মৃতদের দেহ দাহের সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনটি দেহ পড়ে রয়েছে। দাহ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের তরফে স্থানীয় পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা মানুষকে বুঝিয়ে চেষ্টা করছি স্থানীয় স্তরের বাধা কাটাতে।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলে তা করা হবে। সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
রিষড়া, উত্তরপাড়া-সহ আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে করোনায় মৃতের দেহ দাহের সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই জটিল জায়গায় গিয়েছে, একাধিক ক্ষেত্রে হুগলি থেকে কলকাতায় দেহ নিয়ে গিয়ে দাহ করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে শ্রীরামপুরে মহকুমা স্তরে একাধিক বৈঠক হলেও সমস্যা মেটেনি। শ্রীরামপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক স্তরে আমাদের উপরে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে পুলিশ দেওয়া হোক। এটা তো চলতে পারে না। প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শ্রীরামপুরের একটি ঘাটে বৈদুতিক চুল্লিতে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা আছে। আশা করছি, এখানে দাহ করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু সেই কাজ শুরু করতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে।’’ উত্তরপাড়ার বিদায়ী পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমরা প্রশাসনের সব স্তরে কথা বলেছি। চেষ্টা চলছে সমস্যা মেটানোর।’’
গত বছর এই জেলায় গঙ্গা লাগোয়া একটি শ্মশানে কোভিড-মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থায় দাহ কার্যে নিযুক্ত দুই কর্মীকে মোটা টাকা দেওয়া ছাড়াও প্রয়োজনীয় সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছিল। গাড়ি, পিপিই দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ভোট পরিস্থিতিতে পুরো চিত্রটাই এখন বদলে গিয়েছে। যে শ্মশানে গতবার দেহ দাহ করা হচ্ছিল, সেখানে এখন স্থানীয় স্তরে বাধা আসছে। দিন কয়েক আগে রিষড়ার একটি দেহ দাহের ক্ষেত্রে সমস্যা জটিল হয়। বাড়ির লোকজন চেষ্টা করেও জেলায় দাহ করতে পারেননি। একই সমস্যা হয় শ্রীরামপুরের একটি শ্মশানেও। রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, চলতি মাসে হুগলি জেলায় পাঁচ জন কোভিডে মারা গিয়েছেন।