গ্রামীণ হাওড়ায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ১০০
Corona

সব হাসপাতালে হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড

প্রতিটি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কয়েকটি করে শয্যা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জ্বর বা সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসবেন, তাঁদের প্রথমে সেখানে রাখা হবে।

Advertisement

সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৯
Share:

উলুবেড়িয়া কালীবাড়িতে নীলষষ্ঠীতে মানা হল না দূরত্ববিধি। নিজস্ব চিত্র।

করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে হাওড়ায়। শুধু গ্রামীণ এলাকাতেই সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার বিকেল— ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এই অবস্থায় জেলার সব সরকারি হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ড খোলার নির্দেশ দেওয়া হল।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কয়েকটি করে শয্যা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জ্বর বা সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসবেন, তাঁদের প্রথমে সেখানে রাখা হবে। করোনা পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলে পাঠানো হবে করোনা হাসপাতালে। বর্তমানে জেলার মধ্যে হাওড়া শহরের তুলসীদাস জয়সোয়াল হাসপাতাল, সত্যবালা আইডি এবং বালটিকুরি ইএসআই-তে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে।

অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কৌশিককুমার সাউ জানান, গ্রামীণ হাওড়ার হাসপাতালগুলিতে সব মিলিয়ে ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে প্রায় ৬০টি শয্যা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সমস্ত শ্রেণির মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাব-প্রতিষ্ঠানকে মানুষকে সচেতন করার কথা বলা হচ্ছে। ওই স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘অযথা জমায়েত না-করা, বাজার-রাস্তাঘাটে দূরত্ববিধি মেনে চলা এবং সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। বাজার ও জনবহুল এলাকা একদিন অন্তর জীবাণুমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

গত বছর, করোনার প্রথম পর্বে গ্রামীণ হাওড়ার দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতাল এবং ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। এ বছরের গোড়ার দিকে করোনার প্রকোপ কমায় ওই হাসপাতাল দু’টিতে করোনা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় কেউ সংক্রমিত হলে তাঁদের পাঠানো হচ্ছে হাওড়া শহরের করোনা হাসপাতালগুলিতে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে বালটিকুরি ইএসআই-তে। প্রায় ৬০০টি। শয্যা। এ ছাড়া, ৫০টি ভেন্টিলেটর করা হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, যে ভাবে করোনা আবার দ্রুত বাড়ছে, এখনই নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কিছুদিনের মধ্যে তা ভয়াবহ আকার নেবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement