ফাইল চিত্র।
পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে এক কিশোরকে অপহরণ করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন খুনে অভিযুক্ত। পড়শি দেশে পালানোর আগেই খবর পেয়ে ‘সুপারি কিলার’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। নদিয়া সীমান্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হল ওই অপহৃত কিশোরকেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ জুন শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরের দাসপাড়ায় খুন হন বৃদ্ধ গৌতম দাস। ওই ঘটনায় ভাই উজ্জ্বল দাস ও ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে সম্পত্তির লোভে ‘সুপারি কিলার’ দিয়ে দাদাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ‘সুপারি কিলার’ কৃষ্ণ সরকার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই গত ১৬ মে শ্রীরামপুর ওয়াল্স হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান কৃষ্ণ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, বৈদ্যবাটি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড ঘোষালপাড়া থেকে আকাশ দে নামে বছর ষোলোর কিশোরকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছেন কৃষ্ণ। আকাশের দাদু থানায় ওই অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, এর পরেই হন্যে হয়ে কৃষ্ণকে খোঁজা শুরু হয়। বুধবার বাড়িতে ফোন করেছিলেন কৃষ্ণ। সেই সূত্র ধরেই জানা যায়, তিনি নদিয়ার ধানতলা এলাকায় রয়েছে। এর পর আর কাল বিলম্ব না করে ধানতলার উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীরামপুর থানার একটি দল। রাত ১টা নাগাদ নারায়ণপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় আকাশকে। শুক্রবার ধৃত কৃষ্ণকে তোলা হয় শ্রীরামপুর আদালতে।