পরিস্থিতি সামাল দিতে শালিমারে নামানো হয়েছে ব়্যাফ। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার রাতে ধুন্ধুমার বাধল হাওড়ার শালিমারে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। হয় ইটবৃষ্টি। সেই ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছ’জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় নামানো হয়েছে র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শালিমার পাঁচ নম্বর গেট এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সিন্ডিকেট নিয়ে ঝামেলা। তবে পরে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইলের দোকান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। সেই দোকানে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। এর পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জও করা হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রবি এবং সুলতান নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, একই পাড়ার এক মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। ক্রমে সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন এলাকার অনেকেই। উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে পাথর ছোড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনায় জড়িত থাকা অভিযোগে আটক হওয়ার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শালিমার। পার্কিং এবং প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদে সে বার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চরমে ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং ও প্রোমোটিংয়ে মালপত্র সরবরাহ করবে কারা, তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অন্য কাউকে কাজ করতে দেন না এলাকার কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সে বারও এমন মারামারির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন হাওড়া পুলিশকে।