রান্না করা ত্রাণের জন্য লাইন। শনিবার উদয়নারায়ণপুরে।
বন্যার জল সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উঠছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্গঠনের প্রশ্ন। শনিবার সকালে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে এসে রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, তাঁর দফতর আড়াই কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দেবে। উদয়নারায়ণপুরের সঙ্গে আমতা-২ ব্লকও বন্যার কবলে পড়ে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই টাকা জেলার দু’টি ব্লকেরই পুনর্গঠনের কাজে খরচ করা হবে।’’
মন্ত্রী এ দিন বিধিচন্দ্রপুর গ্রামে এসে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ সামগ্রী। তিনি এই বন্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুরে মিলিয়ে ডিভিসি-কেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘‘ডিভিসি অপরিকল্পিত ভাবে জল ছাড়ার জন্যই বার বার হাওড়ায় বন্যা হচ্ছে।’’ একইসঙ্গে তিনি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিশ্বব্যাঙ্ক যে ২৮০০ কোটি টাকার নিম্ন দামোদর সংস্কার প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে তা শেষ হলে জেলায় বন্যার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।’’
এ দিন আমতা-২ ব্লক পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি অমরাগড়ি পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায় গিয়ে বন্যার্তদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। এই ব্লকে ত্রাণ না-পাওয়ার অভিযোগ উঠছে বারবার। জাভেদ বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে ত্রাণ বিলি নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী আছে। সবাই তা পাবেন।’’
বেশিরভাগ এলাকা থেকে জল নেমে গেলেও দু’টি ব্লকেই এখনও কিছু গ্রাম ডুবে আছে। ফলে, এই সব এলাকার মানুষজনের মধ্যে রান্না করা খাবার বিলি করাহচ্ছে। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘দামোদরের বাঁধ উপচে ওইসব এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে। তা বেরনোর রাস্তা নেই। বন্যার প্রকোপ কেটে গেলে কিছু জায়গায় বাঁধ কেটে সেই জল নদীতে ফেলতে হবে।’’ উদয়নারায়ণপুরে আমতা-চাঁপাডাঙা রোডের বেশিরভাগ অংশ ফের জেগে ওঠায় হাওড়া-উদয়নারায়ণপুর ভায়া মুন্সিরহাট রুটের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, আমতা-২ ব্লকে এই সড়কের কিছু অংশ এখনও জলের তলায় থাকায় উদয়নারায়ণপুর থেকে আমতা হয়ে কোনও বাস চলাচল করছে না। চলছে না অন্যান্য যানবাহনও।