জল সংযোগের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে পুর প্রতিনিধিদের বৈঠক। শনিবার চুঁচুড়া পুরসভায়। —নিজস্ব চিত্র।
‘আম্রুত’ প্রকল্পের কাজে সংযোগ দিতে বাসিন্দাদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এলাকায় এসে ঠিকাদারকে তিরস্কার করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। চাপের মুখে টাকা ফেরতও দেন ঠিকাদার। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিধায়কের দলেরই এক কাউন্সিলর দাবি করলেন, দলই ঠিকাদারকে টাকা নিতে বলেছিল! তবে সেই নির্দেশ দলের কে দিয়েছিলেন, তা বলা যাবে না বলে জানান ওই কাউন্সিলর। গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
চুঁচুড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জলের লাইনের কাজ চলছে। মূল লাইন থেকে ১৫ মিটারের বেশি দূরে লাইন দিতে গেলে টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিধায়ক অসিত মজুমদারের ধমকে ঠিকাদার স্বর্ণাভ ঘোষ সেই টাকা ফেরতও দেন শুক্রবার। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শনিবার পুরসভায় বৈঠক করেন অসিত। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ‘আম্রুত’ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা। সেখানেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমি মাঝি জানান, তাঁর ওয়ার্ডেও ওই রকম ২০টি বাড়ি থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক সেখানকার ঠিকাদারকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। মূল লাইন থেকে যত দূরেই বাড়ি হোক, কারও কাছ
থেকে কোনও টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানান।
সভা শেষে মৌসুমি বলেন, “দলের নির্দেশেই টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে কে নির্দেশ দিয়েছেন, নাম বলা যাবে না।” এ বিষয়ে হুগলি-চুঁচুড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব মিত্র বলেন, “টাকা নেওয়ার ব্যাপারে দলের কোনও নির্দেশিকা ছিল না। মৌসুমি কেন এ কথা বললেন, বলতে পারব না। এটা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত।” অসিতের বক্তব্য, ‘‘কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিতে বলা হয়নি। নিলেও তা ফেরত দিতে হবে। ওই কাউন্সিলর কার নির্দেশে এমন হতে দিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, “আসলে ওই কাউন্সিলর (মৌসুমি) সত্যি কথাটা বলে দিয়েছেন। এখন দল যতই অস্বীকার করুক, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে না!”