WB Panchayat Election 2023

মনোনয়ন প্রত্যাহারে আরও চাপ, অভিযোগ

শনিবার গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর আসনে মনোনয়ন তুলে নেন সিপিএমের গোবিন্দ কোটাল এবং বিজেপির সঞ্জিৎ সাঁতরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ০৯:৫৩
Share:

মনোনয়নপত্র যাচাই চলছে আরামবাগ ব্লক অফিসে। বাইরে ভিড়।

হুগলিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীদের মনোয়ন তুলতে চাপ দেওয়া এবং হুমকির অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে আরামবাগে।এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডলের দাবি, ‘‘অভিযোগ পেলেই, খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। দলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়ের মন্তব্য, ‘‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অতীতে কোনও দিন দেখা যায়নি। কাউকে কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না, হবেও না।’’

Advertisement

শনিবার গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর আসনে মনোনয়ন তুলে নেন সিপিএমের গোবিন্দ কোটাল এবং বিজেপির সঞ্জিৎ সাঁতরা। গোবিন্দের বক্তব্য, ‘‘দু’দিন তৃণমূলের সঙ্গে যুঝেছি। আজ এক বালি-মাফিয়া গাড়িতে ব্লক অফিসে তুলে নিয়ে গেল। মনোনয়ন তুলতে বাধ্য হলাম। লিখতে হল, স্বেচ্ছায় তুলছি।’’ সঞ্জিতের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘কিছু বলে বিপদ বাড়াতে চাইনি। তুলে নিয়েছি।’’

সিপিএমের অভিযোগ, সকালে ভাদুর পঞ্চায়েতের পোড়াবাগানে তৃণমূলের লোকেরা মনোনয়নপত্র তোলার হুমকি দিলে গ্রামবাসীরা তাড়ান। ১৪ নম্বর বুথে শেখ সাত্তার নামে এক বালি-মাফিয়াকে ‘কাজে’ নামিয়েছে তৃণমূল। একই অভিযোগ বিজেপিরও। সাত্তারের বক্তব্য, ‘‘আমাকে বালি-মাফিয়া বদনাম দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ওঁরা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র তুলেছেন। এখন দলেরই একটা মনোনয়ন উঠলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন আমাদের প্রার্থী।’’

Advertisement

সিপিএম ও বিজেপির অভিযোগ, আরামবাগের তিরোল, গৌরহাটি ১ ও ২, সালেপুর-২ পঞ্চায়েত-সহ মহকুমা জুড়েই হুমকি চলছে। বাইক-বাহিনী ঘুরছে। পুলিশে জানানো হচ্ছে। গ্রামবাসীও রুখছেন। একই অভিযোগ, তৃণমূলের যাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের একাংশেরও। এমনই এক জন, হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েতের শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে শুক্রবার ভাঙচুর, প্রাণনাশের হমকির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, শনিবার সকালে কাজে যাওয়ার পথে তারকেশ্বরের পূর্ব রামনগর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী গণেশ শীলকে হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকেরা। গণেশের বক্তব্য, ‘‘যতই ভয় দেখাক, নাম প্রত্যাহার করব না।’’ স্থানীয় তৃণমূল যুব সভাপতি সৌগত পালের দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। ওঁর বাড়ি যে এলাকায়, প্রার্থী হয়েছেন তার পাশের গ্রামে। নিজের দলের লোকজন তাঁকে চাইছেন না। আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement