এই পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
ডোমজুড় সলপ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল মন্ত্রী অরূপ রায়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই অফিসেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা বসতেন। এই ঘটনার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রবিবার স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা রাজীবের কুশপুতুল নিয়ে মিছিল করেন। অভিযোগ, মিছিল থেকে ফিরেই তাঁরা ওই অফিসের দখল নেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সুজিত শেখর দাস বলেন, “আমাদের এখানে গদ্দারদের কোনও জায়গা নেই। আজকে তাঁর এই পার্টি অফিসের দখল নেওয়া হল।” পাশাপাশি সুজিতের অভিযোগ, রাজীব গুন্ডা, তোলাবাজদের নিয়ে দল চালাচ্ছিলেন। তিনি ভূমিপুত্র নন। এই পার্টি অফিস তাঁরা আবার পবিত্র করবেন।
অন্য দিকে, ডুমুরজলায় বিজেপি-র পাল্টা সভা করার দাবি করেছেন অরূপ রায়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ডুমুরজলা সংলগ্ন এলাকায় ওই সভা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওই সভায় বাইরের জেলা থেকে কোনও কর্মী, সমর্থক আনা হবে না। শুধুমাত্র হাওড়া জেলার কর্মীরাই মাঠ ভরাবেন।” এর পরই বিজেপি-র সভা নিয়ে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “টাকা দিয়ে বাইরে থেকে লোক এনেও মাঠ ভরাতে পারেনি বিজেপি। এর থেকে বেশি লোক নিয়ে তৃণমূলের ব্লক স্তরে সভা হয়।” দলত্যাগীদের নিয়ে তাঁদের দলের যে কোনও মাথাব্যথা নেই রবিবার সেই বার্তাও দিয়েছেন অরূপ। সঙ্গে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, “যাঁরা দল ছেড়েছেন তাঁরা কোনও দিন দলই করেননি।” বিজেপি-র সভায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “যারা জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করে তারা আবার বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে!”
অন্য দিকে, ডুমুরজলা ময়দানে সভা থেকে ফেরার সময় দুই বিজেপি কর্মীর উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। ওই কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় মোটরবাইক। গুরুতর আহত হন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের এস এস কে এম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চা সদর সভাপতি ওমপ্রকাশ সিংহ বলেন, “তৃণমূলের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে আসায় ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই হামলা চালিয়েছে।” হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, কোনও পার্টি অফিস দখল কিংবা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল কংগ্রেস ডোমজুড় এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ।