কামারকুণ্ডু উড়ালপুল। ছবি: দীপঙ্কর দে
এক সপ্তাহ আগে হুগলির কামারকুণ্ডু উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার ফের ওই উড়ালপুলের উদ্বোধন হল। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেল, কয়লা, খনি দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাটিল দানভে। একই সঙ্গে আরও কয়েকটি কাজের উদ্বোধন তিনি করেন।
কয়েক বছর আগে ডানকুনি উড়ালপুলের ক্ষেত্রেও কার্যত একই ছবি দেখা গিয়েছিল। সে বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ওই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেন। তৎকালীন রেলমন্ত্রী অধীর চৌধুরী ফের উদ্বোধন করেন।
কামারকুণ্ডু উড়ালপুলের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজেপি এ দিন এখানে সভা করে। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রেলকে না জানিয়েই সেতু উদ্বোধন হয়ে গেল। পিসি-ভাইপো, স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কারওর ছবি দেখতে পাওয়া যাবে না। টাটাকে চুন-বলি, সুরকি জোগান দিত স্বামী-স্ত্রী। এ রাজ্যে শিল্পের যা সর্বনাশ করেছেন, আগামী কয়েকটা প্রজন্মকে ফল ভোগ করতে হবে। কারণ এখানে জমি নীতি নেই।’’
রাজ্যে চাকরির দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘ধনেখালির বিধায়কের কুকুরকে যে নিয়ে যায়, সেও চাকরি পেয়ে গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি কিনতে হয়েছে।’’ সভা থেকে তিনি স্লোগান তোলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে চোর-ধরো, জেল-ভরো আওয়াজ তুলুন।’’
লকেট বলেন, ‘‘রেলের আসল উদ্বোধন হল আজ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মেনে। উনি একা সেতু উদ্বোধন করে চলে গেলেন। যেন নিজের বাড়িতে নিজেই সেতু বানিয়েছিলেন।’’ লকেটের খোঁচা, ‘‘এক দিনেই উড়ালপুলের পিচ উঠে গেল। কত টাকা পকেটে গেল?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘এখানকার বিধায়ক বেচারাম মান্না চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। সব টাকা বাড়ি থেকে বের করার জন্য বাড়ি ঘেরাও করবেন আপনারা।’’
বিজেপির আক্রমণ প্রসঙ্গে বেচারামের প্রতিক্রিয়া, ‘‘লকেট, শুভেন্দু আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। মুখে বললেই তো হবে না, আগে ওরা প্রমাণ দিন। তা হলে বুঝব ওরা বাপের ব্যাটা বা বেটি।’’