Chinsurah Municipality

গঙ্গাপাড়ে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ

বিষয়টি অনুসন্ধানের কথা জানান সেচ দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, গঙ্গাপাড় ইজারা দেওয়ার এক্তিয়ার পুরসভার নেই। এর আগে ইজারা পাওয়া পুর প্রতিনিধির ছেলের নাম পুর কর্তৃপক্ষ জানাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৭
Share:

বন্ধ করা হল এই নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র

নানা মহলে সমালোচনা শুরু হওয়ার পরে টনক নড়ল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার।

Advertisement

শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপপুরে গঙ্গাপাড়ে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিল তারা। অভিযোগ, আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে পুর কর্তৃপক্ষ গঙ্গাপাড়ে বেশ কিছুটা অংশ ইজারা দেন এক কাউন্সিলরে ছেলে-সহ দুই যুবককে। সেখানে রেস্তরাঁ তৈরি করা হচ্ছিল।

পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘জমিটি ইজারার জন্য সেচ দফতর কিংবা পোর্ট ট্রাস্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সাড়া মেলেনি। তার আগে নির্মাণ কাজ চালানো ঠিক হয়নি। আমরা আপাতত গোটা প্রক্রিয়াই বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলাম।’’

Advertisement

গঙ্গাপাড় ইজারার খবর সোম ও মঙ্গলবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়। হইচই শুরু হয়। পরিবেশকর্মী এবং বহু সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানান। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে গঙ্গাপাড় ‘চুরি’র অভিযোগে পোস্টার সাঁটে বিজেপি।

বিষয়টি অনুসন্ধানের কথা জানান সেচ দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, গঙ্গাপাড় ইজারা দেওয়ার এক্তিয়ার পুরসভার নেই। এর আগে ইজারা পাওয়া পুর প্রতিনিধির ছেলের নাম পুর কর্তৃপক্ষ জানাননি। এ দিন পুরপ্রধান বলেন, ‘‘লুকোনোর কিছু নেই। ইজারা পেয়েছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমি সাহার ছেলে প্রীতম।’’ পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, বছরে ১৫ হাজার টাকায় ওই জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল।

মৌসুমির প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রীতমের খেদ, ‘‘বেঙ্গালুরু থেকে চাকরি ছেড়ে বাড়ি এলাম। ভেবেছিলাম, একটা ফুড পার্ক করব। কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সে দিকে নজর না দিয়ে সকলে আইন-বেআইনি বিষয়টাই দেখল!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement