Chinsurah

প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের হয়রানি, ধুন্ধুমার চুঁচুড়ায়

সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে প্রায় ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, এ দিনই কাউন্সেলিংয়ের জন্য চুঁচুড়ায় সংসদ ভবনে আসতে হবে। সেই মতো দুপুরের পর থেকে ভিড় জমে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:২৮
Share:

বিক্ষোভ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের সামনে। —নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের সামনে। হাজির হতে বলেও সকলের নাম কেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে না, সেই অভিযোগে কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। বুধবার সন্ধে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে হট্টগোল চলে। শেষে সংসদের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হন। তবে, গভীর রাতে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি। খোলা আকাশের নীচে রাত কেটেছে। তাঁদের মধ্যে মহিলারাও আছেন।

Advertisement

ওই দফতর সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে প্রায় ৭০০ চাকরিপ্রার্থীর মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, এ দিনই কাউন্সেলিংয়ের জন্য চুঁচুড়ায় সংসদ ভবনে আসতে হবে। সেই মতো দুপুরের পর থেকে ভিড় জমে। জেলার বিভিন্ন দূরবর্তী জায়গার পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও চাকরিপ্রার্থীরা আসেন।

অভিযোগ, ভবনের সামনে প্রার্থীদের ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। রাত ৮টা নাগাদ মাইকে ঘোষণা করা হয়, এ দিন আড়াইশোর কিছু বেশি যুবক-যুবতীর কাউন্সেলিং করা হবে। বাকিদের চলে যেতে বলা হয়। এতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। আড়াইশো জনকে সুযোগ দেওয়া হলে বাকিরা কেন বঞ্চিত হবেন, সেই প্রশ্ন ওঠে। নিয়োগ নিয়ে গরমিলের অভিযোগও ওঠে। রাত ১১টা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের গেট আটকে দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। শেষে, রাত ২টো নাগাদ মাইকে জানানো হয়, যাঁদের নাম তালিকায় নেই, শীঘ্রই তাঁদেরও কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে। ওই প্রতিশ্রুতিতে
বিক্ষোভ থামে। যাঁদের নাম তালিকায় ছিল, অত রাতে তাঁদের অবশ্য কাউন্সেলিং করানো যায়নি। সেই পর্ব বৃহস্পতিবার হয়।

Advertisement

প্রকাশ রক্ষিত নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘মোবাইলে মেসেজ পেয়েই দ্রুত চলে এসেছি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দূরদূরান্ত থেকে সবাইকে ডেকে এনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে? নির্দিষ্ট দিন এবং সময়েই তো ডাকা যেত।’’ কাকলি কোলে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর ক্ষোভ, ‘‘কী অদ্ভুত ব্যাপার! দফতরের কর্তারা বোধহয় আমাদের মানুষ বলে ভাবেননি।’’

গোটা বিষয়টিতে সংসদ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হুগলি জেলা পরিদর্শক তপন বসুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। দু’বার তাঁর ফোন বাজার পরে কেটে যায়। তার পরে বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইলে বার্তা পাঠানো হলেও জবাব আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement