—প্রতীকী চিত্র।
একটি পণ্যবাহী গাড়ির চালককে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হাওড়ার আন্দুল বাসস্ট্যান্ড। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মত্ত অবস্থায় থাকা দুই মোটরবাইক আরোহী ওই পণ্যবাহী গাড়ির চালককে বেধড়ক মারধর করে। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িটিতে। সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই গাড়ির চালককে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাত ১১টা নাগাদ দুই পাড়ার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাঁকরাইল থানা থেকে আসে বিশাল বাহিনী ও র্যাফ। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় এক জনকে। উত্তেজনা থাকায় সোমবারও ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো রবিবার রাতেও আন্দুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তীব্র যানজট হয়েছিল। তাতে আটকে থাকা একটি পণ্যবাহী গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে বলেন মোটরবাইকে থাকা দুই যুবক। কিন্তু ওই পণ্যবাহী গাড়িটি যানজটের কারণে সরতে পারেনি। অভিযোগ, এর পরেই বাইক-আরোহী ওই দুই যুবক গাড়িটির চালককে টেনে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। গাড়িটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে কয়েক জন। তবে পুলিশ এসে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। গুরুতর জখম অবস্থায় ইসমাইল হালদার নামে ওই গাড়ির চালককে আন্দুলের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে এর পরে। ইসমাইল যে এলাকায় থাকেন, সেই আড়গড় ও মৌড়ি রথতলা এলাকায় পৌঁছে যায় মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের খবর। সেখানকার লোকজন এসে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় রাজমাঠ এলাকার বাসিন্দা ওই দুই বাইক-আরোহী যুবকের শাগরেদরা। পুলিশ জানায়, তখনকার মতো মার খেয়ে আড়গড় এলাকার বাসিন্দারা ফিরে গেলেও বেশি রাতে ওই এলাকার কয়েকশো লোক রাজমাঠ এলাকার বাসিন্দাদের উপরে চড়াও হন। দুই পাড়ার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। গোলমালের খবর পেয়ে ছুটে আসে সাঁকরাইল থানার বাহিনী ও র্যাফ। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গভীর রাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত দুই মোটরবাইক আরোহীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।