কালীপুজোয় ছাড় পাওয়া গেলেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরে রাত্রিকালীন কার্ফু জারি রাখার বিষয়ে অনড় পুলিশ-প্রশাসন। তবে পুলিশের এই মনোভাবে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। যদিও তাঁদের দুশ্চিন্তা লাঘব করতে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল ঘোষের মন্তব্য, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে নির্দেশ আসেনি। ফলে মন্ত্রীর কথায় ফের আশায় বুক বাঁধছেন উদ্যোক্তারা।
রবিবার চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তা-সহ চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কার্ফু জারি থাকবে। রাত ১১টার পর কেউ যাতায়াত করতে পারবেন না। ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যাতায়াতে জনসাধারণকে বাধা দেবে না পুলিশ। তবে ১১টার পর যাতে সরকারি নির্দেশ মেনে চলা হয়, পুলিশ তা দেখবে।’’
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা দেখার জন্য প্রতি বছরই এ শহরে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে প়ড়ে। তবে চলতি বছরের পুজোয় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হলে কী ভাবে তাঁদের আটকানো যাবে? পুজোর শোভাযাত্রা বা রাত ১১টার পর রাস্তায় বার হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বহু পুজো উদ্যোক্তা। পুলিশ কমিশনারের মন্তব্যে রবীন্দ্রভবনে উপস্থিত পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। যদিও এ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিধায়ক। তাঁর আশ্বাস, ‘‘এখানকার মানুষের আবেগ বুঝি। লক্ষ লক্ষ মানুষ নানা জায়গা থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে এখানে আসেন। এখনও পর্যন্ত রাত্রিকালীন কার্ফু নিয়ে সরকারি নির্দেশ বার হয়নি। তাই বলছি নিশ্চিন্ত থাকুন, দু’এক দিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।’’