শেষ মুহূর্তের তুলির টান। চন্দননগরের দ্বৈবক পাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
জগদ্ধাত্রী পুজো আসছে। সাজছে চন্দননগর। পুজোয় দূষণ রোধে এ বার কড়া বার্তা দিল ‘চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কেন্দ্রীয় কমিটি’। আতশবাজি পোড়ানো এবং ডিজে বক্স বাজানো নিষিদ্ধ তো হলই, ভোগ বিতরণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের
পাত্রের বদলে মাটির ভাঁড় বা মালসা ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের বড়বাজারে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ। কমিটির তরফে এ দিন পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়।
শুভজিৎ আরও জানান, এ বার কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় ১৭৭টি পুজো কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে চন্দননগর থানা এলাকায় ১৩৩টি এবং ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় ৪৪টি কমিটি আছে। মোট ৬টি কমিটি বিশেষ জয়ন্তী বর্ষ পালন করবে। চলতি বছর ষষ্ঠী ও সপ্তমী একই দিনে পড়ায় একাদশীর দিন, অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর সন্ধে ৬টা থেকে বিসর্জনের
শোভাযাত্রা শুরু হবে। মোট ৬২টি পুজো কমিটি যোগ দেবে। সর্বাধিক ৪টি করে ট্রাক ব্যবহার করতে পারবে শোভাযাত্রায় যোগদানকারী পুজো কমিটিগুলি। শোভাযাত্রায় মোট ২৩০টি ট্রাক থাকবে।
বিসর্জনের জন্য চন্দননগরে ৮টি এবং ভদ্রেশ্বরের ৯টি ঘাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুভজিৎ বলেন, “শোভাযাত্রা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি
কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক পথে থাকবেন।”