মইগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। — নিজস্ব চিত্র।
এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে গত শুক্রবারই। শনিবার থেকে আরামবাগ মহকুমার চারটি থানার সন্ত্রস্ত এলাকাগুলিতে তাদের রুট মার্চ শুরু হল। সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীরা এতে আশ্বস্ত হলেও ভোটের দিন কী হবে, তা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে।
এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল জানান, প্রতিদিন সকাল-বিকেলে দু’টি করে থানা এলাকায় রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরামবাগ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তাদের থাকার জায়গা হয়েছে।
এ দিন সকালে আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটী, মইগ্রাম, পুঁইন-সহ ৭টি গ্রামে এবং গোঘাটের কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতের আশপুর, পুনিয়া ইত্যাদি গ্রামে রুট মার্চ হয়। বিকেলে খানাকুলের ঘোষপুর পঞ্চায়েতের রামপ্রসাদ, ঘোষপুর, পিলখাঁ, বেনেজলা এবং পুরশুড়ার ভাঙামোড়া পঞ্চায়েতের খুশিগঞ্জ, সোঁয়ালুক, ফুলবাগান ইত্যাদি গ্রামে বাহিনী রুট মার্চ করে।
মনোনয়ন প্রত্যাহারে শাসক দলের বিরুদ্ধে নানা জায়গায় বিরোধী প্রার্থীরা হুমকি-হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন। যাঁরা মনোনয়ন তোলেননি, তাঁদের বুথে এজেন্ট বসানো যাবে না বলে বর্তমানে বিক্ষিপ্ত হুমকি চলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ নিয়ে আরামবাগ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এতে ভোটারের মনে আস্থা ও সাহস ফিরবে ঠিকই, কিন্তু ভোটের দিনে বাহিনীর ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি জরুরি ছিল।”
তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি পলাশ রায়ের দাবি, “কোথাও কোন সন্ত্রাস নেই।নিশ্চিন্তে সব দল মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পেরেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ হোক বা না হোক, ভোট শান্তিপূর্ণই হবে।”