সিসিক্যামেরা লাগাচ্ছেন এক কর্মী। নিজস্ব চিত্র
নিরাপত্তা বাড়াতে উলুবেড়িয়া শহরে সিসিক্যামেরা বসানো শুরু করল পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ৩২টি ওই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি বসানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রের খবর। এ জন্য উলুবেড়িয়া থানায় তৈরি করা হয়েছে সিসিক্যামেরার ‘মনিটরিং সেল’।
বেশ কিছুদিন যাবৎ শহরে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এতদিন পুলিশকে দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য রাস্তার ধারে কারও বাড়ি বা কোনও ব্যবসাকেন্দ্রে লাগানো সিসিক্যামেরার উপর ভরসা রাখতে হতো। তা সত্ত্বেও অনেক সময় পুলিশ দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারত না। কিন্তু এ বার দুষ্কৃতীদের ধরা সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে সব থানা এলাকাতেই সিসিক্যামেরা লাগানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। উলুবেড়িয়া থানার উদ্যোগেই শহরে সিসিক্যামেরা লাগানোর কাজচলছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের নজরদারিতে সুবিধা হবে।’’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া থানায় ‘মনিটরিং সেল’-এ বড় স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকেই শহরের সর্বত্র ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে। মানুষের নিরাপত্তা, অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য এই সিসি ক্যামেরা উপযোগী ভূমিকা নেবে বলে দাবি পুলিশের।
শহরের ১১ ফটক বাস স্ট্যান্ড থেকে গঙ্গারামপুর মোড় পর্যন্ত সিসিক্যামেরাগুলি আপাতত লাগানো হচ্ছে। এই রাস্তাতেই পড়ে মহকুমাশাসকের কার্যালয়, আদালত, কলেজ, মহকুমা হাসপাতাল এবং বেশ কিছু সরকারি অফিস। প্রতিদিন লাখো মানুষ যাতায়াত করেন।
শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য সিসিক্যামেরা লাগানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এতে যেমন পুলিশ, প্রশাসনের সুবিধা হবে, তেমনই শহরের বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন।’’ শহরের আর এক বাসিন্দা মনে করছেন, ‘‘একবার খরচ করে সিসিক্যামেরা লাগালেই শুধু হবে না, দেখভাল ও মেরামতের কাজেও নজর রাখতে হবে। তবেই সুফল মিলবে।’’