ফাইল চিত্র।
কোভিডের প্রকোপ হু হু করে বেড়ে চললেও ব্যবসা বন্ধে রাজি নন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, সব বাজার-দোকান খোলা। তাই মঙ্গলাহাটও সপ্তাহে তিন দিন চালু রাখতে দিতে হবে। জেলা প্রশাসনের হাট বন্ধের নির্দেশ উড়িয়ে তাই সোমবার হাওড়া ময়দান চত্বরে বসল হাট। এতেই শেষ নয়। কোভিড-বিধি মেনে কী ভাবে হাট চালু রাখা যায়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের তরফে নির্দিষ্ট উত্তর না পাওয়ায় শরৎ সদনে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে হাওড়া পুরসভা এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকেও সমাধানসূত্র অধরাই থেকে গেল।
গত সপ্তাহেই পুরসভা, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ এক নির্দেশিকা জারি করে মঙ্গলাহাট বন্ধের নির্দেশ দেয়। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ-অবরোধ হয় হাওড়া ময়দানেও।
এ দিন বৈঠকের পরে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আগের নির্দেশ মতো আজ, মঙ্গলবার হাট বন্ধ থাকবে। তবে আগামী সপ্তাহে হাট বন্ধ থাকবে না কি বিধি মেনে চালু রাখা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। কাল, বুধবারের মধ্যে হাট মালিকদের থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব আসার পরে চিন্তা-ভাবনা হবে।’’
পুর প্রশাসক এ কথা বললেও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি দাবি, প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হাট বন্ধ হবে না। বিধি মেনে চলবে কেনাবেচা। ‘মঙ্গলাহাট সমন্বয় ব্যবসায়ী সমিতির’ সহ-সম্পাদক কানাই পোদ্দার বলেন, ‘‘হাট বন্ধের প্রশ্নই নেই। যা-ই হোক, হাট চালু থাকবে।’’
প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, ব্যবসায়ীদের এই অনমনীয় মনোভাব চলতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাট ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠন রয়েছে। তাই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সকলের কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়। হাট বন্ধের নির্দেশ সত্ত্বেও কিছু ব্যবসায়ী এ দিন দোকান খুলে বসেছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়।’’
এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই অন্য জেলা থেকে আসেন। কোভিড পরিস্থিতিতে হাট চললে স্থানীয়দের কতটা ক্ষতি হবে, তা তাঁদের ভাবনার বিষয় নয়। সেটা প্রশাসন ভাবছে।’’