প্রতীকী ছবি।
নিজের বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হল এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত দেহ। পাশেই পড়ে ছিল একটি বিদেশি রিভলভার। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শালিমার কোল ডিপোর ১৬ নম্বর পিটিআর সাইডিংয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অনিল মিশ্র (৫৬)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ব্যবসাতেও মন্দা চলছিল। পুলিশের ধারণা, এক দিকে শারীরিক অসুস্থতা, অন্য দিকে ব্যবসায় মন্দা— দুইয়ে মিলে অবসাদে ভুগছিলেন অনিল। তার জেরেই তিনি তাঁর লাইসেন্সড রিভলভার থেকে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন। রিভলভারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে শালিমারের ১৬ নম্বর পিটিআর সাইডিংয়ে আচমকা গুলির শব্দে চমকে ওঠেন বাসিন্দারা। যে বাড়ি থেকে গুলির আওয়াজ এসেছে, সেই মিশ্র বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ভিতরে বড় লোহার গেটের সামনে উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অনিল। মাথার ডান দিকে গভীর ক্ষত। দেহের পাশেই পড়ে তাঁর রিভলভারটি। অনিলের পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা এ কে সিংহ জানান, মা-বাবার মৃত্যুর পরে ওই ব্যবসায়ী নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি ব্যবসায় মন্দার কারণে তাঁর প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘‘এলাকায় অনিল মিশ্রের যথেষ্ট সুনাম ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তিনি নানা কারণে অবসাদে ভুগছিলেন।’’ মৃত ব্যবসায়ীর খুড়তুতো ভাই গান্ধী মিশ্র বলেন, ‘‘এই পরিবারের চার ভাই একসঙ্গে থাকি। ঘটনার সময়ে বাড়িতে শুধু মহিলারাই ছিলেন। তাই কেউ আটকাতে পারেননি।’’
পুলিশ জানায়, ওই পরিবহণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী সরস্বতী মিশ্র এ দিন হঠাৎ দেখেন, রিভলভার বার করে তাঁর স্বামী উঠোনের দিকে যাচ্ছেন। কিছু ঘটতে চলেছে আশঙ্কা করে তিনিও পিছনে ছুটেছিলেন। সরস্বতী জানিয়েছেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনিল মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে দেন।
হাওড়ার ডিসি (সেন্ট্রাল) কে কান্নন বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’