বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা। বুধবার আরামবাগ বাস স্ট্যান্ডে (উপরে)। সমাবেশে যোগ দিতে চুঁচুড়া স্টেশনে বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকার তথা শাসকদলের ‘দুর্নীতি’ এবং ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদে বুধবার ‘কলকাতা চলো’ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জনসভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু হুগলির সদর শহর চুঁচুড়া থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য বাস মেলেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। এ জন্য তৃণমূলই কলকাঠি নেড়েছে বলে বিজেপির দাবি।
অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “খামোখা অভিযোগ করে লাভ নেই। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার সহজ উপায় আমাদের দোষারোপ করা।”
সম্প্রতি বিজেপির এই কর্মসূচির প্রচারের পোস্টারের উপরে একটি হুমকি পোস্টার সাঁটানো নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চুঁচুড়ায়। হুমকি-পোস্টারে লেখা ছিল, ‘যাঁরা সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করা হবে’। জানা যায়নি কে বা কারা এই কাগজ সাঁটিয়েছিলেন। এর পরেই এ দিন বাস পরিষেবা না মেলার অভিযোগে শাসকদলকেই নিশানা করলেন এলাকার
বিজেপি নেতারা।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে আমরা পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক কলকাতায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেনে। এর আগেও আমরা কলকাতায় নানা সভায় গিয়েছি। বাস একেবারে পাইনি তা হয়নি। তবে এ বার বাস সংগঠনগুলিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারণ করা হয়েছিল। যদিও আমাদের বাস সংগঠনের থেকে বলা হয়েছে, বিয়েবাড়ির জন্য প্রতিটি বাস আগে থেকেই ভাড়া নেওয়া হয়েছে।”
শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা থেকে জনসভায় এ দিন ২৮৫ রুটের দু’টি বাস নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে বিজেপির এই সভার জন্য ডানকুনি টোল প্লাজ়ায় বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হলেও ওই রাস্তায় জনসভাগামী বাসের চাপ খুব বেশি ছিল না।” তবে আরামবাগে বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেল এ দিন।
জনসভার জন্য গণপরিবহণ পরিষেবায় ততটা প্রভাব দেখা যায়নি বলাগড় ও পান্ডুয়ায়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা বাসে, ট্রেনে করেই কলকাতা গিয়েছেন। হাওড়া গ্রামীণেও পরিষেবা প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক ছিল। তবে সকালের দিকে ডাউন উলুবেড়িয়া লোকালে অতিরিক্ত ভিড় দেখা যায়। এ দিন সভার কারণে অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম মানুষ পথে নেমেছিলেন বলে জানান অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়।