WB panchayat Election 2023

পুরভোটের টাকা মেটেনি, পঞ্চায়েত ভোটে বাস দিতে অনাগ্রহ মািলকদের

ভোটকর্মী বা পুলিশ বাহিনীর যাতায়াতে নির্বাচনে প্রচুর বাস প্রয়োজন হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

প্রকাশ পাল

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১০:১৩
Share:

পঞ্চায়েত ভোটে বাস দিতে অনাগ্রহী হুগলি জেলার বাসমালিকেরা। — ফাইল চিত্র।

পুরভোট হয়েছে এক বছর আগে। সেই টাকাই মেটেনি। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের কাজে বাস দিতে অনাগ্রহী হুগলি জেলার বাসমালিকদের একাংশ। প্রশাসনের তরফে বকেয়া টাকা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ভোটকর্মী বা পুলিশ বাহিনীর যাতায়াতে নির্বাচনে প্রচুর বাস প্রয়োজন হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার হুগলির বাস-মিনিবাস সংগঠনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা (আরটিও) অশোক ঘোষ। জানতে চাওয়া হয়, কত বাস কর্মক্ষম রয়েছে। বাসমালিকদের সূত্রে দাবি, তাঁরা জানান, পুরভোটের টাকা না মেটালে সব মালিক বাস দিতে চাইবেন না। এর পরেই আরটিও বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দেন।

হুগলি জেলা বাস-মিন‌িবাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত খাঁ বলেন, ‘‘পুরভোটের পুরো টাকা পাইনি। কোনও কোনও গাড়ি বিধানসভা ভোটের টাকাও পায়নি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রশাসন বাস চাইলে আমাদের দিতে হবে। কিন্তু, টাকা না পেলে কর্মীরা যেতে না চাইলে, আমরা কী করব! এ কথা বৈঠকে বলেছি।’’ শ্রীরামপুর মহকুমা বাসমালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন প্রামাণিকের বক্তব্য, লোকসান সামলাতে না পেরে প্রতিদিন বাস বসে যাচ্ছে। একের পর এক রুট বন্ধ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের হাজার তিনেক করে টাকা মিটিয়ে না দিলে অনেকেই বাস দিতে আগ্রহী নন।

Advertisement

আরটিওর বক্তব্য, ‘‘কিছু টাকা বাকি, এটা ঠিক। তবে, বাস দেওয়ার পক্ষপাতী নন মালিকেরা, এমন কেউ বলেননি। বকেয়া মেটানোর বিষয়টি আমরা দেখছি। দফতর থেকে টাকা এলে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে, এমন আলোচনা হয়েছে।’’

বাসমালিক সংগঠন সূত্রে খবর, পুরভোটে শ’পাঁচেক বাস গিয়েছিল। দৈনিক ২৩০০ টাকা হিসাবে তিন দিনে বাসপিছু পাওনা হয় ৬৯০০ টাকা। অগ্রিম হিসাবে ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থাৎ গাড়িপিছু আড়াই হাজার টাকার বেশি বকেয়া। সব বাস মিলিয়ে এই অঙ্ক দেড় লক্ষ টাকার আশপাশে।

পুরসভা নির্বাচনে খেটেছে, এমন অনেক বাস এখন বসে গিয়েছে। বাসের সংখ্যা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে সব বাস নিয়েও প্রশাসনের চাহিদা মিটবে কি না, থাকছে সে প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement