Baidyabati Municipality

বিধান রায়ের বদলে মানপত্রে অম্বেডকরের ছবি! ডাক্তারদের কাছে ভুল স্বীকার বৈদ্যবাটি পুরসভার

চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসদের দেওয়া মানপত্রে বিধানচন্দ্র রায়ের বদলে মানপত্রে রইল বিআর অম্বেডকরের ছবি। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই বৈদ্যবাটি পুরসভার তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৩
Share:

যে মানপত্র ঘিরে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসক দিবসে এলাকার চিকিৎসকদের মানপত্র দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছিল বৈদ্যবাটি পুরসভা। কিন্তু যাঁর জন্মদিন উপলক্ষে চিকিৎসক দিবস পালিত হয়, সেই বিধানচন্দ্র রায়ের বদলে মানপত্রে রইল বিআর অম্বেডকরের ছবি। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই পুরসভার তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। পুরপ্রধানের দাবি, এটা ‘প্রিন্টিং মিসটেক’ বা ছাপার ভুল।

Advertisement

গত সোমবার ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন। ওই দিনটি দীর্ঘ দিন ধরেই চিকিৎসক দিবস হিসাবে পালিত হয়। পুর এলাকার চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দিতে সোমবার তাঁদের বাড়ি যান বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরসদস্যরা। চিকিৎসকদের হাতে দেওয়া হয় ফ্রেমে বাঁধানো মানপত্র। ওই মানপত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল অম্বেডকরের ছবি।

বিষয়টি নজরে আসতেই বিষয়টি নজরে আসতেই ফেসবুকে প্রতিবাদ জানান চিকিৎসক দীপ্তেন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “চিকিৎসক দিবস সারা দেশেই পালিত হয়। বৈদ্যবাটি পুরসভাও পালন করেছে ভাল কথা। কিন্তু চিকিৎসকেদের সম্মান জানাতে গিয়ে মস্ত বড় ভুল করেছে তারা। অথবা কে বিধানচন্দ্র রায় আর কে অম্বেডকর, তা চিনতে পারেনি। বিধান রায়ের জন্মদিনে সম্মান, অথচ তাঁর ছবিই নেই।” বিষয়টি কেন পুরসভার কারও নজরে এল না, তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

Advertisement

ছবি বিভ্রাট প্রসঙ্গে পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, “আমরা প্রতি বছরই ১লা জুলাই চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকেদের সম্মান জানাযই। শহরের ১১০ জন চিকিৎসককে এ বার সম্মানিত করা হয়। এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই মানপত্র তৈরি করার জন্য। তিনি কলকাতা থেকে করিয়ে নিয়ে আসেন। বিধানচন্দ্র রায়ের বদলে ছবি বসানো হয়েছে অম্বেডকরের। এটা প্রিন্টিং মিসটেক। কারও নজরেই পড়েনি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যে চিকিৎসক ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। আমি ক্ষমা চেয়েছি। আরও কয়েক জন চিকিৎসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বলেছি ছবি বদলে দেওয়া হবে।” তৃণমূল পরিচালিত বৈদ্যবাটি পুরসভাকে এ হেন কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “যে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা বিক্রি করে জেলে যান, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না তো কোথায় ঘটবে?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement