Crocodile

crocodile: কুমিরের দেহ মিলল শ্রীরামপুরের গঙ্গায়

মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুরে গঙ্গা থেকে একটি কুমিরের পচাগলা দেহ উদ্ধারের পরে অনেকেই মনে করছেন, এটিই সেই কুমির।

Advertisement

প্রকাশ পাল

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:০৬
Share:

চাতরা কালীবাবুর ঘাটে উদ্ধার হওয়া কুমির। নিজস্ব চিত্র।

বেশ কিছু দিন ধরে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলির গঙ্গায় চষে বেরিয়েছে একটি কুমির। কখনও দেখা গিয়েছে পাড়ে রোদ পোহাতে। দিন দশেক আগে নদিয়ার সান্যালচর এবং হুগলির খামারগাছির মাঝে গঙ্গায় ধরে দড়ি বেঁধে কুমিরটিকে পাড়ে এনেছিলেন কিছু মৎস্যজীবী। পরে স্রোতে ছেড়ে দেন। মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুরে গঙ্গা থেকে একটি কুমিরের পচাগলা দেহ উদ্ধারের পরে অনেকেই মনে করছেন, এটিই সেই কুমির। বেশ কয়েক দিন আগে প্রাণীটির মৃত্যু হয় বলে মনে করছে বন দফতর।

Advertisement

এ দিন সকালে শ্রীরামপুরের চাতরায় কালীবাবুর শ্মশান লাগোয়া ঘাটের কাছে মৎস্যজীবীরা দেখেন, কচুরিপানায় প্রাণীটি আটকে রয়েছে। তাঁরা ভেবেছিলেন, মাছ। ঠেলে পাড়ে আনতে ভুল ভাঙে। খবর ছড়াতেই আশপাশের লোকজন ভিড় করেন। পথচলতি লোকজন মোটরবাইক, গাড়ি থামিয়ে কুমির দর্শন করে যান। শহর জুড়ে মুখে মুখে ফিরেছে কুমিরের কথা।

স্থানীয় পুরসভার সহযোগিতায় বনশ্রমিক নেপাল মাঝি কুমিরটিকে জল থেকে তোলেন। বিট অফিসার সোমেশ ভট্টাচার্যও আসেন। হুগলি বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার রাজেশকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, কুমিরটি লম্বায় ৮ ফুট ৪ ইঞ্চি। হাওড়ার গড়চুমুক প্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে ময়নাতদন্ত করা হয়। তবে, কুমিরটির মৃত্যুর কারণ বা সেটির সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়। বিশ্লেষণ চলছে। সান্যালচরে পাড়ে এনে মৎস্যজীবীদের মনে হয়েছিল, প্রাণীটি দুর্বল ছিল। বিশেষজ্ঞরাও তাই মনে করছেন।

Advertisement

হোয়াটস্‌অ্যাপে ছবি দেখে এটি ‘মিষ্টি জলের কুমির’ বা ‘মগর’ (ফ্রেশ ওয়াটার ক্রোকোডাইল) বলে চিহ্নিত করেছেন মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক ট্রাস্ট অ্যান্ড সেন্টার ফর হার্পেটোলজি’র প্রাক্তন সহকারী কিউরেটর অজয় কার্তিক। ফোনে তিনি বলেন, ‘‘ছবি দেখে মনে হচ্ছে, এটি সম্ভবত সদ্য পূর্ণবয়স্ক। ৮ থেকে ১০ বছর বয়স হতে পারে।’’ সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ বিশাল সাঁতরা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গায় কত ঘড়িয়াল আছে, কুমির আছে কি না, এ সব জানতে সমীক্ষা দরকার।’’

ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘কুম্ভীর বিভ্রাট’ গল্পে শক্তিধর বিশাল এক কুমির নদীতে ভেসে বেড়াত। আস্ত গরু-মোষ, মানুষ পর্যন্ত খেত। বহু কসরত করে মারার পরে কুমিরটির পেট চিরে দেখা গিয়েছিল, সেখানে বসে বেগুন বেচছেন এক মহিলা। তাঁকে কুমিরটি খেয়ে ফেলেছিল। উদরসাৎ করা অন্য এক মহিলার গয়নাগাটি পরেছিলেন তিনি।

বাস্তবের কুমিরের পেট চিরে কী রিপোর্ট উঠে আসে, সেটাই প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement