ফাইল চিত্র।
নবমী রাতে ঠাকুর দেখতে বেরোনোর পর থেকে নিখোঁজ ছিল কিশোরী। দশমীর সকালে উদ্ধার হল তার দেহ। হুগলির শেওড়াফুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার শেওড়াফুলির ৩ ও ৪ নম্বর গেটের মাঝামাঝি রেললাইন থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে জিআরপি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর বয়স ১৪ বছর। শেওড়াফুলির খড়পাড়ার বাসিন্দা সে। পরিবার জানায়, মঙ্গলবার রাতে পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল মেয়ে। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও সে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় ছিল পরিবার। তার পর সকালে রেললাইন থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, মেয়েকে গলা টিপে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিশোরীর দাদা বলেন, ‘‘আমরা সবাই ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। বোন বলেছিল, পাড়ার মণ্ডপেই থাকবে। কিন্তু পরে শুনলাম, এলাকার এক ছেলের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল ও। ওকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। বোনকে মারধরের দৃশ্য পাড়ার একটা মেয়ে দেখেছে। তাকেও নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতার বাবা।
কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পরেই এলাকায় শোরগোল পড়়ে যায়। অভিযুক্ত যুবককে পোস্টে বেঁধে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ।