—ফাইল চিত্র।
বিমানের মতোই এ বার ট্রেনেও বসানো হবে ‘ব্ল্যাক বক্স’। রেল দুর্ঘটনার কারণ জানতেই এই যন্ত্র বসানো হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রু অডিয়ো-রেকর্ডিং সিস্টেম’। যা বিমান বা কপ্টারের ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর মতোই কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ জৈন।
বিমান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, পাইলট ও সহকারি-চালকের মধ্যে কথোপথন এবং তাঁদের সব সিদ্ধান্তই ব্ল্যাক বক্সে রেকর্ডিং হিসেবে সংরক্ষিত থাকে। যা মূলত বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কাজে লাগে। এ বার সেই প্রযুক্তিই নিয়ে আসা হচ্ছে রেল পরিষেবায়। ট্রেন কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ওই আপৎকালীন মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ ছবি ও ভিডিয়ো-ও সংরক্ষিত থাকবে। এই সুবিধা বিমানের ব্ল্যাক বক্সে থাকে না।
মণীশ বলেন, ‘‘অনেক সময় দুর্ঘটনার সঠিক কারণ না জেনেই চালকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বার অত্যাধুনিক এই যন্ত্রের মাধ্যমে সব কিছু জানা যাবে। আগামী দিনে রেল দুর্ঘটনার তদন্তে কার্যকরী ভূমিকা নেবে এই যন্ত্র।’’
তিনি জানান, আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাওড়া শাখার দূরপাল্লার একটি ইঞ্জিনে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। এর পর আরও ১৫টি ইঞ্জিনে বসানো হবে। এক একটি যন্ত্রের জন্য খরচ প্রায় তিন লক্ষ টাকা। রেল সূত্রে খবর, দু’হাজার ইঞ্জিনে এই যন্ত্র বসানো হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিকানের–গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ন’জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ওই ঘটনায়। ওই ঘটনায় রেলওয়ে সেফটি বোর্ডের তদন্ত চলার মাঝেই দূরপাল্লার ট্রেনে ব্ল্যাক বক্স বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।