বিজেপির ঘুড়ি উৎসব —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হাওড়ায় ঘুড়ি উৎসব ঘিরে প্রকাশ্যে এল বিজেপি-র গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দলীয় পতাকা লাগিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের ছবি দিয়ে ফ্লেক্স বানিয়ে কর্মসূচি করা হলেও তাতে অনুপস্থিত থাকলেন ওই দু’জন নেতা। ছিলেন না হাওড়া সদরের শীর্ষ নেতৃত্বও। যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলতে নারাজ বিজেপি। তবে এ নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
শনিবার ঘুড়ি উৎসবের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার হাওড়া ও হুগলি জোনের আহ্বায়ক বনশ্রী মণ্ডল। বনশ্রী জানিয়েছেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগ হলেও রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতির অনুমতি নিয়ে এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। তাতে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় ব্যস্ততার কারণে হয়তো অনেকেই আসতে পারেননি। জেলা সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘‘এই কর্মসূচির কোনও খবর আমার কাছে ছিল না। তাই যেতে পারিনি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ এই ঘুড়ি উৎসব করে থাকতে পারে। এখানে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।’’
বনশ্রী বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি নিয়ে দলের কারও যদি কোনও ক্ষোভ-অভিমান থাকে, তা হলে নিজেদের মধ্যে সে সব মিটিয়ে নেওয়া হবে। তৃণমূল আসলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে মিথ্যে প্রচার করছে। শাসকদল থেকে ভেঙে যে ভাবে সকলে বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছে, তাতেই বোঝা যায় আমাদের দল আসলে ভরসার জায়গা।’’
তবে বনশ্রীর এই যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘‘এ সব ঘুড়ি উড়িয়ে কিছু হবে না। নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি-র কোনও জায়গা নেই। সেটা গেরুয়া শিবির ভাল করে বুঝে গিয়েছে।’’