BJP

হুগলির পর হাওড়ার আমতায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল, এ বার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা,পাল্টা তৃণমূলও

তফসিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদের দল রবিবার হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার পর সোমবার গেল হাওড়ার আমতায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৩
Share:

বাংলায় এসেছে বিজেপির আরও একটি তথ্যসন্ধানী দল। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছে বিজেপির আরও একটি তথ্যসন্ধানী দল। তফসিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদের সেই দল রবিবার হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার পর সোমবার গেল হাওড়ার আমতায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের সময় সেখানে ‘সন্ত্রাস’ চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দাবি, শাসকদলের শাসানির কারণেই সেখানকার বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। আমতার ‘হিংসা কবলিত’ এলাকা পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাদের অভিযোগ, এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চলছে। হামলার শিকার হচ্ছেন গরিব-দলিতেরা।

Advertisement

পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে শাসক তৃণমূলও। বিজেপির বার বার কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘মণিপুরে দু’জন মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় প্যারেড করানো হয়েছে। কার্গিল যুদ্ধের সৈনিকের স্ত্রীকেও প্যারেড করানো হয় নগ্ন করে। সে দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে বিজেপির এই নাটক গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দেখছেন। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বলছে, বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্যের থেকে বাংলা আইনশৃঙ্খলা ও নারী সুরক্ষার দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। সেটা বিজেপি খুব ভাল ভাবে জানে। যারা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থাকারী ব্রিজভূষণকে মাথায় নিয়ে ঘোরে, তাদের মুখে এ ধরনের কথা মানায় না।’’

সোমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় দল আমতার কাঁকরোলে যায়। অভিযোগ, ভোটের পর সেখানে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সব দলীয় কর্মীদের পরিবারের সঙ্গেই কথা বলে বিজেপির তফসিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ নেতার ওই দল। দলে ছিলেন— বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। পরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রয়াগরাজের সাংসদ বিনোদ সোনকর বলেন, ‘‘এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। অথচ, এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে কী ভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে, তা আপনারা সাংবাদিকরা সারা দেশের সামনে তুলে ধরুন। এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সব থেকে বেশি নির্যাতন চলছে। গরিব ও দলিত মানুষদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ প্রশাসনকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিনোদ বলেন, ‘‘এখানে পুলিশ ঠিক মতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে রাখছি, তারা একটা রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এ রকম কাজ করতে থাকে, তা হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম পদক্ষেপ করা হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব ঘটনার তদন্ত হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement