খলিসানির মুম্বই রোডের সার্ভিস রোড অবরোধ চলছে। — নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি অভিযানে উলুবেড়িয়ার খলিসানি পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছুদিন চোলাই ও সাট্টার ঠেক বন্ধ ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আবার সেই ঠেক বসছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। এখন তৃণমূল মানুষকে মদ খাইয়ে প্রভাবিত করছে, এই অভিযোগ তুলে বিজেপি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেক খলিসানির মুম্বই রোডের সার্ভিস রোড অবরোধ করে। মদ-সাট্টার কারবারে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খলিসানি পঞ্চায়েত জিতেছিল বিজেপি। তাদের আশঙ্কা, এ বার সন্ত্রাস করে জিততে চায় তৃণমূল। হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘সারা বছর ধরেই শাসক দল ও পুলিশের মদতে খলিসানিতে রমরমিয়ে চোলাই ব্যবসা চলে। ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি পাকাতে শাসক দলের নেতারা যুব সমাজকে মদ খাওয়ার টাকা দিচ্ছে। যাতে ভোটে সন্ত্রাস চালাতে পারে। বলা হলেও পুলিশ কর্ণঁপাত করছে না। তাই পথ অবরোধ করলেন কর্মীরা।’’
অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বেণু সেন বলেন, ‘‘খলিসানি পঞ্চায়েতে বিজেপি যে ভাবে দুর্নীতি করেছে, মানুষ বুঝে গিয়েছেন। তাঁরা এ বার তৃণমূলকে ভোট দেবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন। বিজেপি সেটা বুঝতে পেরে আগেভাগে নাটক শুরু করেছে। মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার মুখ নেই বিজেপির। তৃণমূল কাউকে মদ খাইয়ে ভোট নেয় না। উন্নয়ন মানুষ দেখছে।’’ তবে, এলাকায় যে চোলাইয়ের ঠেক চলে, তা মেনে নিয়েছেন বেণু। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকে বলব, চোলাই মদের ঠেক অবিলম্বে তুলে দিতে।’’ পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি মানেনি।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের কর্তা জানান, ওই এলাকায় চোলাই মোদের ঠেকের খবর পেলেই তা ভেঙে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে কয়েকবার গ্রেফতারও করা হয়েছে। আবার যদি নতুন করে চোলাই মদ ও সাট্টার ঠেক বসে, তা হলে ভেঙে দেওয়া হবে।