পুরসভায় নোটিস টাঙানো হচ্ছে।
হাওড়া পুরনিগমের আসন বিন্যাসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল বিজেপি। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, কাউকে কিছু না জানিয়েই আসন বিন্যাস করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া কোনও নিয়ম মেনেও হয়নি বলেই অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিরোধী দলের কাছে গোটা তালিকাই পাঠানো হয়েছে।’’
দীর্ঘ টালবাহানার পর হাওড়া পুরনিগমে আসন বিন্যাসের নির্দেশিকা জারি হয়েছে মঙ্গলবার। নয়া নির্দেশিকায় পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৬৬টি করা হয়েছে। এই মর্মে মঙ্গলবারই একটি নির্দেশিকা টাঙানো হয় পুরসভায়। যা দেখতে বুধবার পুরসভায় বিভিন্ন সময়ে কৌতূহলি মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে চার বছর ধরে আটকে থাকা এই পুরনিগমে ভোটের জট কাটল। তাঁদের মতে, ভোটপ্রক্রিয়া শুরুর এটাই হয়তো প্রথম পদক্ষেপ। ডিসেম্বর মাস নাগাদ পুরনিগমে ভোট হতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। আসন বিন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই আসন বিন্যাস করা হয়েছে। কোনও নিয়মও মানা হয়নি। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব আমরা।’’
বিরোধীপক্ষকে না-জানিয়ে আসন বিন্যাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী অরূপ। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাজই হল উন্নয়নে বাধা দেওয়া। বিরোধী দলগুলিকেও তালিকা পাঠানো হয়েছে। কারও কোনও অভিযোগ থাকতে অবশ্যই জানাতে পারেন।’’ ভোট প্রক্রিয়াও এগোচ্ছে বলে জানান তিনি। পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস হলে অনেক বেশি পরিষেবা দেওয়া যাবে। এটা বিরোধীদের জানা দরকার।’’