Dam Construction

দেকল বিল পরিদর্শনে দুই জেলার আধিকারিকরা

কালনা-২ ব্লকের সাতগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষিদের একাংশের দাবি ছিল, হুগলির কিছু মৎস্যজীবী দেকল বিলে বেআইনি ভাবে বাঁধ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৯:১১
Share:

পূর্ব বর্ধমানের কালনা-২ ব্লকের প্রাচীন দেকল বিলের একাংশ রয়েছে হুগলির বলাগড়ে। সেখানে মাটি ফেলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ঠিক হয়েছিল, দুই জেলার কৃষি ও সেচ দফতরের আধিকারিকেরা বিলটি ঘুরে দেখবেন। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিলটি পরিদর্শন করলেন দু’জেলার কৃষি ও সেচ দফতর, বিডিও ও পঞ্চায়েতের আধিকারিকেরা। এ বার দু’তরফেই সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানাবে।

Advertisement

বলাগড়ের বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘পরিদর্শক দলে দু’জেলার প্রতিনিধিরা ছিলেন। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মহকুমাশাসক (সদর) সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রিপোর্ট পেলেই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

কালনা-২ ব্লকের সাতগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় চাষিদের একাংশের দাবি ছিল, হুগলির কিছু মৎস্যজীবী দেকল বিলে বেআইনি ভাবে বাঁধ দিয়েছেন। তাতে তাঁদের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। এর পরেই দুই জেলার প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে যৌথ সমীক্ষায় উদ্যোগী হয়। এ দিন হাজির ছিলেন কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সোমবারি হাঁসদা, সহ-সভাপতি নীলিমা কপ্তি এবং বিএলএলআরও দেবব্রত দাস, সাতগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডলেরা।

Advertisement

ওই বিলের একটা অংশ বরাত নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে চাষ করেন বলাগড়ের ইছাপুরের একটি সংস্থা। যেখানে প্রায় সাড়ে চারশো চাষি রয়েছেন। এদিন ওই সংস্থার আধিকারিক উত্তম পাল বলেন , ‘‘প্রায় দু কিলোমিটার ওই বাঁধের জায়গায় ১০-১২ ফুট করে জল নিকাশির ব্যবস্থা রয়েছে।l তারপরও ওই
জেলার চাষিরা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement