Mahesh

Mahesh: স্নান করে ধুম জ্বর জগন্নাথের! ছশো বছরের মাহেশের রথ নিয়ে প্রচলিত নানা কাহিনি

পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে দুর্ঘটনার পর সতর্ক মাহেশের জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল টিম তৈরি রাখা হয়েছে। করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেডও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ১৫:২৯
Share:

স্নানযাত্রায় ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

করোনা অতিমারি পর্বে গত দু’বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা। এ বার অবশ্য চাকা গড়াবে হুগলির মাহেশের রথের। মঙ্গলবার ধুমধাম করে পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা।

Advertisement

আগামী ১ জুলাই রথযাত্রা উৎসব। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় চন্দন উৎসবের ৪২ দিনের মাথায় পালিত হয় স্নানযাত্রা। শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নানপিঁড়ির মাঠে ধুমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব। প্রতি বারই বহু ভক্তের সমাগম হয় সেখানে। গত দু’বছর সেই উৎসবে ছেদ পড়েছিল করোনার কারণে। তবে এ বার স্নানযাত্রা হচ্ছে রীতি মেনে। মঙ্গলবার সকালে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করা হয়। পুজোর পর দুপুরে স্নানপিঁড়ির মাঠে পালিত হয় স্নানযাত্রা।

স্নানযাত্রার রীতিও চমকপ্রদ। দেড় মন দুধ এবং ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথকে। বিশ্বাস, স্নানের পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথের। এর পর সেই মূর্তি লেপ, কম্বল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। এর পর শুরু হয় ‘অঙ্গরাগ’। ভেষজ রং দিয়ে রাঙানো হয় জগন্নাথকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় গর্ভগৃহের দরজা। কথিত আছে, কবিরাজের পাঁচন খেয়ে অবশেষে জ্বর সারে। তার পর শুরু হয় ‘নবযৌবন উৎসব’। এর পর দিন রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। মাহেশের রথযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতি বছর। এ বার ওই উৎসব ৬২৬ বছরে পড়ল।

Advertisement

পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে দুর্ঘটনার পর সতর্ক মাহেশের জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। স্নানযাত্রায় কোনও ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেডও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement