ফাইল চিত্র।
মাত্র চার দিনের ব্যবধানে হাওড়ায় দুই বাড়িতে ঢুকে দু’টিদুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় একটি বানজ়ারা দলের দুই মহিলাকে সন্দেহ করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, গত মঙ্গলবার যে দুই মহিলা দাশনগরের অনাদি দাস সরণির একটি বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার সোনারগয়না-সহ অন্যান্য জিনিস লুট করেছিল, তারাই রবিবার শিশু কোলে জগাছার ইছাপুর এলাকার কামারডাঙার বাড়িটিতে ঢুকে সোনার গয়না চুরি করে। দু’টি জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত,এই কায়দায় চুরি করতে গিয়ে বছর তিনেক আগেও এক বার ধরা পড়েছিল ওই দুই মহিলা। বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা ফের একই কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু হাওড়ায় নয়, ভিখারির ছদ্মবেশে শিশু কোলে নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকেচুরির ঘটনা আগে ঘটেছে কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলাতেও। কিন্তুহাওড়ায় এক সপ্তাহে যে দু’টি লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, তাতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে তদন্তকারীরা চিন্তিত। প্রথমত, গত মঙ্গলবার দাশনগরের অনাদি দাস সরণির যে তেতলা বাড়িতে অনায়াসে ঢুকে ১০ মিনিটের মধ্যে সোনার গয়না,টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ হাতিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে, সেই বাড়িটির অবস্থান মূল রাস্তা থেকে ভিতরে একটি গলির শেষ মাথায়।প্রশ্ন উঠেছে, সকাল সাড়ে ৯টায় কী ভাবে ওই দুই মহিলা বাড়ির সদর দরজা খুলে অবলীলায় দোতলায়উঠে গেল? বাড়ির লোকজন যে সেই সময়ে তেতলায় কাজে ব্যস্ত থাকবেন, সেটাই বা তারা জানতে পারল কী ভাবে?
দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি পুলিশকে ভাবাচ্ছে তা হল, গোটা ঘটনার পিছনে কি বড় কোনও সংগঠিত দল আছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে খোঁজখবর নিয়েই ওই বানজ়ারা গোষ্ঠীর দুই মহিলাকে দিয়ে লুটপাট করিয়েছে? কারণ, রবিবার দুপুরে কামারডাঙার যে বাড়িতে চুরি হয়, সেই বাড়িটিও তেতলা এবং ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। চুরির সময়ে ওই বাড়ির দোতলাতেও কেউ ছিলেন না। আর সেই সুযোগই কাজে লাগায় অভিযুক্ত দুই মহিলা।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা ওই দুই মহিলাকে চিহ্নিত করেছি। বানজ়ারা গোষ্ঠীর ওই দুই মহিলা আগেও ধরা পড়েছিল।এরা একটা চক্র হিসাবে বিভিন্নজেলায় কাজ করছে। টিকিয়াপাড়া, হাওড়া স্টেশন চত্বর-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। শীঘ্রই দলটি ধরা পড়বে।’’