একসঙ্গে দু’বার টিকাকরণের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন সাইফুদ্দিন দফাদার। হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন তিনি। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার প্রথম টিকা নিতে গিয়েছিলেন। তবে একটির জায়গায় একসঙ্গে পর পর দু’টি টিকা পেলেন হুগলির বলাগড়ের এক যুবক। ওই যুবকের অভিযোগ, গল্প করতে করতে তাঁকে টিকা দিতে গিয়েই বিপত্তি ঘটিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। দু’টি টিকা দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করলেও স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, টিকাকরণের সময় বাধা দেননি ওই যুবক।
একসঙ্গে দু’বার টিকাকরণের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলাগড় থানার গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা সাইফুদ্দিন দফাদার। তাঁকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাইফুদ্দিন জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে পান্ডুয়ায় ঘোড়াগাছাতলায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন গত ২০ অক্টোবর, বুধবার কোভিশিল্ডের প্রথম টিকা নিতে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান। সাইফুদ্দিনের অভিযোগ, পান্ডুয়া হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর ডান হাতে এক বার টিকা দেওয়ার পরের মুহূর্তেই বাঁ-হাতে ফের টিকা দেন। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীকে তা জানালেও বিষয়টি অগ্রাহ্য করেন তাঁরা। সাইফুদ্দিনের দাবি, ‘‘গল্প করতে করতে এক স্বাস্থ্যকর্মী দিদি আমাকে টিকা দিচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে আমাকে দুটো টিকা দিয়ে দেয়। সে কথা জানালে জ্বরের ওষুধ দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।’’
একসঙ্গে দু’টি টিকা নেওয়ার পর অসুস্থবোধ করতে থাকেন সাইফুদ্দিন। তাঁর কথায়, ‘‘দুটো টিকা নেওয়ার পর আমার হাত-পা ব্যথা রয়েছে। বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। জলপিপাসা পাচ্ছেও খুব। রোদে বার হলে শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে। ডাক্তারবাবু ওষুধ লিখে দিয়েছেন। কোনও অসুবিধে হলে হাসপাতালে যেতে বলেছেন।’’
গোটা ঘটনায় নিজেদের গাফিলতি মেনে নিয়েছেন পান্ডুয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মঞ্জুর আলম। যদিও তাঁর দাবি, ‘‘প্রথম টিকা নেওয়ার পর ফের টিকাকরণের জন্য একটি টেবিলের সামনে গিয়ে বসে পড়েন ওই যুবক। সে কারণেই ভুল করে তাঁকে দুটো টিকা দেওয়া হয়। তা ছাড়া, দ্বিতীয় বার টিকা দেওয়ার সময় তিনি বারণও করেননি।’’ মঞ্জুর আলম বলেন, ‘‘ওই যুবককে আপতত পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। দুটো টিকা দেওয়া হলেও চিন্তার কিছু নেই।’’