—প্রতীকী ছবি।
জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে হুগলির তারকেশ্বরের এক যুবককে গ্রেফতার করল গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। কাজের সূত্রে গুজরাতের রাজকোটে থাকা ওই যুবককে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এই যুবক অবশ্য একা নন, সোমবার জঙ্গিযোগের অভিযোগে মোট তিন জন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সুকুর আলি, আমান মালিক এবং সইফ নওয়াজ। অভিযুক্তদের মধ্যে আমান তারকেশ্বরের গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। সুকুল এবং সইফ বর্ধমানের বাসিন্দা। ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়়িয়ে দিয়েছেন আমানের বাবা সিরাজ। তিনি বলেন, “ছেলে দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাক। কিন্তু ওকে ফাঁসানো হয়েছে। আমান এমন কিছু করলে আমরা টের পেতাম।”
গুজরাট পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে বসে থাকা আল কায়দার হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন আমান। আমানই বাকি দু’জন অভিযুক্তকে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত করেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশের তরফে এ-ও জানানো হয় যে, দীর্ঘ দিন নজরদারি চালানোর পর সোমবার সকালে রাজকোট থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশীয় আধা স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, ১০টি কার্তুজ এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আমানের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, এক বছর ধরে রাজকোটে সোনার কাজ করছিলেন তিনি। তার আগে দিল্লিতে কাজ করতেন। প্রথম ২০১৭ সালে রাজকোটে সোনার গয়না তৈরির কাজে যান আমান। সেখান থেকে মাঝে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন। এক বছর আগে আবার রাজকোটে আসেন তিনি।