লরিতে ধাক্কা মেরে দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার পাঁচলায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। একটি যাত্রিবাহী বাসের টায়ার ফেটে যায়। তার পর সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি লরিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিন যাত্রীর। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে হাওড়ার আমতার দিকে আসছিল একটি বেসরকারি একটি বাস। ভিড়ে ঠাসা যাত্রী নিয়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলা বাসটির সামনের একটি টায়ার ফেটে যায় পাঁচলার ধুলোরবাঁধ এলাকায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ধাক্কা মারে একটি চলন্ত লরিকে। সংঘর্ষে বাস এবং লরির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া আমতা রোডে যান চলাচল বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমতা থানার পুলিশ-সহ গ্রামীণ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। তবে তার আগেই উদ্ধার কাজ শুরু করে এলকার মানুষজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুব দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। দু’টি গাড়িকে ওভারটেক করার পর বাসটির টায়ার ফেটে যায়। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী বাঙ্গালিয়া জানান, এই ঘটনায় বাসচালক, লরিচালক এবং এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭ জন। আহতদের গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া হাসপাতাল এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে।’
আবার বেপরোয়া গতির বলি? নিজস্ব চিত্র।
এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, যে ভাবে এই রাস্তায় বাসগুলো জোরে যায়, তাতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা হয়। ঘটনাস্থলে এসে পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, ‘‘মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে আমরা আছি। এলাকায় যান চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’