আরামবাগ আদালত চত্বরে বিদ্যুতের খুঁটির পাশে ভেঙে পড়েছে গাছ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।
ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জনজীবন বিপর্যস্ত হল আরামবাগ মহকুমায়। ভোগান্তি চলল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। ঝড়ে মাথায় গাছে ডাল ভেঙে মাথায় পড়ায় জখম হন এক যুবক। ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং তার ছিঁড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝড় উঠলে আরামবাগের বড়ডোঙ্গল বাজারে গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ায় গুরুতর জখম হন সৌভিক পরামানিক নামে স্থানীয় চুয়াডাঙা গ্রামের এক যুবক। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি বিপন্মুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরামবাগ শহর-সহ কিছু এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ ভাঙে ঝড়ে। শহরে একটি পথবাতি হেলে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় শুক্রবার বিকেল নাগাদ। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার শুভায়ন ঘোষ বলেন, “মোট চারটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছিল। কামারপুকুরে একটি ট্রান্সর্ফমার পুড়ে যায়। সেগুলি বদল করে দেওয়া হয়েছে।”
এই দুর্যোগে বোরো ধানে ক্ষতি নিয়েই চাষিদের হাহাকার বেশি। চাষিদের অভিযোগ, সপ্তাহ দেড়েক আগে ধানে ফুল আসার মুখে একদফা ঝড়-বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এখন ধানের শিষ মাথা তুলে দাঁড়াবার মুখে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু শিস ভেঙে নুয়ে পড়েছে। ঝড়ের ঝাপটায় কিছু শিসের তলার দিক কেটে গিয়েছে। ফলে, ওই সব শিসের ধান শুকিয়ে নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন আরামবাগের রামনগরের বিদ্যাপতি বাড়ুই, গোঘাটের পাতুলসারার শঙ্কর পাল, পুরশুড়ার মসিনানের শেখ আব্দুলের মতো বেশ কয়েকজন চাষি। বোরো ধানের মতোই পাট গাছও বেশ কিছু ভেঙে বা নুয়ে পড়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
বিভিন্ন চাষের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা কৃষি দফতরের এক কর্তা। মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই বলেন, “আমরা সতর্ক আছি। ঝড়বৃষ্টিতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’